ঢাকা ৮ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২২
বরগুনার আমতলী উপজেলার আঙ্গুলকাটা গ্রামের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেঁড়ি বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মুন্সি ইটভাটার মালামাল আনা-নেয়ার জন্য রাস্তা তৈরি করে ইটভাটা ভাড়া দিয়েছে ইটভাটার মালিক কর্তৃপক্ষ । পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বাঁধ কেটেছেন বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।এতে বড় ধরনের বন্যা ও জলোচ্ছাস হলে তলিয়ে যাবে গুলিশাখালী ইউনিয়ন। হুমকির মুখে রয়েছে ওই গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ।
জানা গেছে, ১৯৮০ সালে পানি উন্নয়ন বোর্ড পায়রা নদী ঘেঁষা আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নকে প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্যা ও জলোচ্ছাসের হাত থেকে রক্ষায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ করে। কিন্তু স্থানীয় মুন্সি ইটভাটার মালিক বাদল মুন্সি বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে মালামাল আনা নেয়া করার জন্য রাস্তা তৈরি করে ইটভাটাটি ভাড়া দিয়েছে মো. আবুল মৃধার কাছে । আবুল মৃধা সুড়ঙ্গ রাস্তা দিয়ে মালামাল আনা নেওয়া করছে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেঁড়ি বাঁধ কাটা অংশের উপরে বিভিন্ন কাঠের গুঁড়ি ফেলে রেখেছেন তিনি।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জোয়ারের পানিতে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পানিতে ছোঁয়া-ছোঁয়া অবস্থায় থাকে। কোনো জলোচ্ছাস হলেই বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের কাটা অংশ দিয়ে পানি ঢুকে এলাকা তুলিয়ে যাবে। এতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ।
মুন্সি ইটভাটার মালিক মো. বাদল মুন্সির সাথে কথা বলার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে মুন্সী ইটভাটা পরিচালনা কারি মো. আবুল মৃধা বলেন, মুন্সি ইটভাটার মালিক বাদল মুন্সীর কাছ থেকে ইটভাটা ভাড়া নিয়ে চালাচ্ছি আমি বাঁধ কাটি নাই। মালিক বাদল মুন্সীই বাঁধ কেটেছেন।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো.আজিজুর রহমান সুজন বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধকেহ কাটতে পারেনা । সরেজমিন পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আমতলীর সহকারী কমিশনার ভুমি মো. নাজমুল ইসলাম মুঠোফোনে বলেন, সরেজমিন পরিদর্শন করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড বরগুনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কায়সার আলম মুঠোফোনে বলেন,বাঁধ কাটার কোন বিধান নাই দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক