ঢাকা ১০ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে আষাঢ়, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২২
আমতলী(বরগুনা)প্রতিনিধিঃ আমতলীর অধিকাংশ কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভতির্তে বোর্ড নির্ধরিত টাকার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ফলে অনেক দরিদ্র শিক্ষার্থীদের ভর্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আমতলী উপজেলায় ৬ টি কলেজ রয়েছে। কলেজগুলো হচ্ছে আমতলী সরকারী কলেজ, ইউনুস আলী খানঁ কলেজ, বকুল নেছা মহিলা কলেজ, চাওড়া কারিগড়ি ও কৃষি কলেজ, সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজ ও উত্তর টিয়াখালী কলেজ। এর মধ্যে একটি সরকারী ও ৩টি এমপিওভূক্ত কলেজ রয়েছে। উত্তর টিয়াখালী কলেজটি নন এমপিও ভূক্ত।
এসকল কলেজে এবছর ১ হাজার ৫শ’ ৬৪ জন শিক্ষার্থী বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পায়। এর মধ্যে আমতলী সরকারী কলেজে ৩শ’৮০ জন, বকুল নেছা মহিলা কলেজে ১শ’ ৭৪ জন, ইউনুছ আলী খান কলেজে ১শ’ ৮৭ জন, সোনাখালী স্কুল এন্ড কলেজে ১শ’৫২ জন, উত্তর টিয়াখালী কলেজে ৫৭ জন ও চাওড়া কারিগড়ি ও কৃষি কলেজে ১শ জন শিক্ষার্থীরা অনলাইনে আবেদনের মাধ্যমে ভর্তির নিশ্চয়তা পেয়েছে। ভর্তির নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে এসকল শিক্ষঅর্থীরা কলেজগুলোতে ভর্তি হতে গিয়ে পড়েছে মহা বিপাকে। অধিকাংশ কলেজ বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন।
বোর্ডের পরিপত্র অনুযায়ী উপজেলা শহরের কলেজ গুলোতে শিক্ষার্থীদের নিকট থেতে ১হাজার ৫শ’ টাকা ভর্তি বাবদ নেওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কলেজে শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করেছেন। এর মধ্যে ইউনুষ আলী খান কলেজে ভর্তি হওয়া শিক্ষাথীদের নিকট থেকে বেশী হারে অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, স্যারেরা আমাদের নিকট থেকে দুই হাজার টাকা থেকে আড়াই হাজার টাকা করে ভর্তি বাবদ নিয়েছে। করোনার কারনে আমাদের দরিদ্র পরিবার টাকা দিতে না পারলেও স্যারদের চাপে বাধ্য হয়ে ধার দেনা করে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি।
ইউনুষ আলী খান কলেজের অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মো. দলিল উদ্দিন বলেন, ভর্তিতে আড়াই হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এ টাকা মসজিদ ফি, বিদ্যুৎ বিল ক্রীড়ার খরচের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে বোর্ডের নির্দেশনা অমান্য করে কেন অতিরিক্ত টাকা আদায় করেছেন এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি আর কোন কথা বলেননি।
ইউনুছ আলী খান কলেজের ব্যবস্পাপনা পরিষদের সভাপতি ইউনুছ আলী খাঁন বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়ে আমার জানা নেই। তবে অতিরিক্ত টাকা কেন নেওয়া হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হবে। আমতলী সরকারী কলেজে ভর্তিতে দুই হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে।
অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) হোসেন আহম্মেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের আইডি কার্ড, প্রসপেক্টাস ও কলেজ ড্রেসের মনোগ্রামের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয়েছে। আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লা বিন রশিদ বলেন, একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিতে বোর্ড নির্ধারিত টাকার অতিরিক্ত ফি নেওয়া হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড বরিশালের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস বলেন, বোর্ড নির্ধারিত ফির অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক