বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (বিএফডিসি) নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশনের আপিল বোর্ড। একইসঙ্গে চিত্রনায়িকা নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক ঘোষণা করে বোর্ডটি। এজন্য আপিল বোর্ডকে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালনকারী পীরজাদা শহিদুল হারুন।
পীরজাদা হারুন বলেন, নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী আপিল বোর্ড এখন মৃত। তারা কোনো রায় দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন না।
তিনি আরো বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী পর দিন আবেদন করার সুযোগ ছিল, নিপুণ সেখানে আবেদন করেছেন এবং আপিল বোর্ড চূড়ান্ত রায় দিয়েছেন। সেখানে আপিল বোর্ড জায়েদ খানকে বিজয়ী ঘোষণা করে। এখন এ আপিল বোর্ড অবৈধ, এ বোর্ডের হাতে কোনো ক্ষমতা নেই।
এদিকে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার বিষয়ে পীরজাদা হারুন বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে গঠনতন্ত্র এবং নির্বাচনের তফসিল দেখার জন্য। তফসিল অনুযায়ী, নির্বাচনের পরদিন ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর আপিল বোর্ডের হাতে আর কোনো ক্ষমতা নেই। ৩০ জানুয়ারি থেকে নির্বাচন কমিশনের হাতেও কোনো ক্ষমতা নাই। এখন হাইকোর্টের দরজা খোলা আছে, ক্ষুব্ধ হয়ে হাইকোর্টে যেতে পারেন। কিন্তু আপিল বোর্ড বা নির্বাচন কমিশন আর কাউকে বিজয়ী ঘোষণা করতে পারেন না।
এর আগে, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে ‘ভোট কেনার’ অভিযোগ তুলে নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিলের আবেদন করেন পরাজিত প্রার্থী নিপুণ আক্তার।
তার আবেদনের প্রেক্ষিতে শনিবার সন্ধ্যায় আপিল বোর্ড জানায়, জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নিপুণকে নির্বাচিতও ঘোষণা করে আপিল বোর্ড।
এদিন আপিল বোর্ডের মিটিংয়ে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল অভিযোগকারী নিপুণ, অভিযুক্ত জায়েদ খান, চুন্নু, সমিতির নতুন সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ও দুই নির্বাচন কমিশনারকে। তবে নিপুণকে আপিল বোর্ডের সভায় দেখা গেলেও জায়েদ খান ও চুন্নু হাজির হননি।