৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা

প্রকাশিত: ৯:০৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৭, ২০২০

৭ মার্চকে ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চে দেয়া ভাষণের দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে ঘোষণা করার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। ১৯৭১ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই ভাষণ দেন। ৭ অক্টোবর, বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়।

 

এছাড়াও দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপন সংক্রান্ত মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের জারিকৃত পরিপত্রের ‘ক’ ক্রমিকে অন্তর্ভুক্তকরণের প্রস্তাবের অনুমোদনও দেয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

এ বিষয়ে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেয়া ভাষণে। এই ভাষণই মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা। বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণকে কেন্দ্র করে স্বাধীনতার চূড়ান্ত মঞ্চ গড়ে ওঠে বলেও জানান তিনি।

 

তিনি আরো বলেন, এছাড়াও ৭ মার্চ ভাষণের আন্তর্জাতিক একটা গুরুত্বও আছে। ইউনেস্কো এই ভাষণকে ‘মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড’ হিসেবে রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত করেছে। তাই জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করা খুবই প্রাসঙ্গিক। তাই মন্ত্রিপরিষদে এই প্রস্তাব উপস্থাপন করে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়।

 

সচিব আরো বলেন, দিবসটি উদযাপনের মাধ্যমে জনগণের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপূর্ণ বিকাশ লালন-পালন ও যথাযথ চর্চা করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে সকল শিক্ষার্থী ও মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে পরিপূর্ণ সংস্থাপন করার প্রয়াস বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর, সংস্থা এই দিবসটি তাদের নিজস্ব কর্মসূচির মাধ্যমে উদযাপন ও বাস্তবায়ন করবে। তবে এ দিনে কোনো ছুটি থাকবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

 

এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ঐতিহাসিক ৭ মার্চকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করে গেজেট জারির নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ