ঢাকা ৩রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২০, ২০২০
মাথায় হিজাব পড়ার কারণে স্কুলের ভলিবল প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেয়া হয়েছে এক মুসলিম শিক্ষার্থীকে।
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের ভেলর কলেজিয়েট একাডেমিতে এই ঘটনা ঘটে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যম হাফপোস্ট জানিয়েছে।
এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ঘটনার শিকার নাজাহ আকিল বিদ্যালয়টির নবম গ্রেডের শিক্ষার্থী। খেলা শুরু হওয়ার ঠিক আগ মুহূর্তে রেফারি এসে নাজাহ ও তার সহকারী কোচকে বলেন, শিক্ষার্থীর হিজাব ন্যাশনাল ফেডারেশন অব স্টেট স্কুল এসোসিয়েশন-এর নীতি লঙ্ঘন করছে। ন্যাশনাল বোর্ড দেশের মাধ্যমিক স্কুলে খেলার কিছু নির্দেশনা দেয়। নাজাহ হিজাব পরিধান করে খেলতে বিশেষ অনুমোদন লাগবে।
বিষয়টি জানা ছিল না নাজাহ ও তার কোচের। যোগাযোগের অভাব ও নিয়মের কঠোর প্রয়োগের ফলে নাজাহ কান্না করে বলেন, ‘আমি এ জন্য কাঁদছি না যে আমি কষ্ট পেয়েছি। বরং আমি কাঁদছি, কারণ আমি বাকরুদ্ধ। আমি এটাকে অন্যায় বলে মনে করি।’
স্কুলের ভলিবল প্রতিযোগিতা দেখার জন্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন নাজাহের মা আলিয়া। তিনি বলেন, আমার বাচ্চা কাঁদছে। কারণ সে এমন সিদ্ধান্তে মর্মাহত হয়েছে। এটি পুরোপুরি অন্যায়। ওর সঙ্গে ধর্মের কারণে এমনটি করা হলো। হিজাবের কারণে এমন আচরণ করা হলো।’
আমেরিকার মুসলিম এডভাইজারি কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক সাবিনা মহিউদ্দিন এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সংবিধান প্রদত্ত অধিকার অনুসরণ করে টেনেসির অনুষ্ঠিত খেলায় অংশগ্রহণের জন্য একজন মুসলিম মেয়েকে কেন আলাদা নিয়ম অনুসরণ করতে হবে? এ নিয়মটি একজন ১৪ বছরের মেয়েকে বন্ধুদের সামনে অপমানের মতো। অথচ দেশের অন্যত্র আমাদের মেয়েরা খেলছে। আইনটি মুসলিম মেয়েদের জন্য এমন যেন মুসলিম হওয়ার জন্য তাদের অনুমতির প্রয়োজন।’
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক