সাবান পানি নিয়ে দুই দফতরের ঠেলাঠেলি, ২৮ বেসিন পরিত্যক্ত

প্রকাশিত: ১০:১৪ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৩, ২০২১

সাবান পানি নিয়ে দুই দফতরের ঠেলাঠেলি, ২৮ বেসিন পরিত্যক্ত
নিউজটি শেয়ার করুন

 

 

করোনা সুরক্ষায় হাত ধোয়ার জন্য ভোলা জেলার বিভিন্ন স্থানে নির্মাণ করা হয়েছিল ২৮টি হাত ধোয়ার বেসিন। কে পানি দেবে, কে সাবান দেবে এ নিয়ে দুই দফতরের ঠেলাঠেলিতে বছর ঘুরতেই পরিত্যক্ত হয়ে পড়েছে বেসিনগুলো। কয়েক লাখ টাকায় নির্মিত হাত ধোয়ার বেসিন থেকেও কাজে আসছেনা। ফলে ভোলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

ভোলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানিয়েছে, ভোলা পৌর শহরে ১৬ টি এবং ৬ টি উপজেলায় দুইটি করে ১২টিসহ মোট ২৮টি বেসিন নির্মাণ করা হয়। ঠিকাদার ইলিয়াছ হোসেন জানান , ২০২০ সালে জরুরি ভিত্তিতে বেসিন নির্মাণ করে ভোলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের কাছে হস্তান্তর করি। এগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব ভোলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের।

 

ভোলা পৌর শহরের যুগীর ঘোল চত্বর, সদর উপজেলা চত্বর, সাব-রেজিস্ট্রার অফিস, পরাণগঞ্জ বাজার মসজিদ সংলগ্ন, ভোলা সরকারি স্কুল মাঠ, ভোলা সদর হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রসহ প্রভৃতি এলাকা ঘুরে দেখা গেছে একটি বেসিনেও পানি এবং সাবান নেই। কোনোটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। আবার কোনোটি ময়লা-আবর্জনায় নোংরা হয়ে আছে।

 

নতুন বাজারের ব্যবসায়ী ইসমাইল হোসেন বলেন, গতবছর করোনাকালীন সময়ে বেসিনগুলো নির্মাণ করা হয়। মানুষ এখানে হাত ধুয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতো। কিছুদিন যাওয়ার পর পানির অভাব দেখা দেয়। পানি না থাকায় বেসিনগুলো পরিত্যক্ত হয়ে গেছে।

 

ভোলা জেলা সচেতন নাগরিক ফোরামের সদস্য সচিব মো. বাহাউদ্দিন বলেন, সঠিক তদারকি না থাকায় বেসিনগুলি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

 

ভোলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফিরোজ আলম বলেন, আমরা ইউনিসেফ থেকে যে পরিমাণ সাবান পেয়েছি সব বেসিনেই দিয়েছি। কিন্তু বাস্তবতা হলো সাবান দেওয়ার পর আর খুঁজে পাওয়া যায় না। বেসিনগুলোর দায়িত্বের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি তিনি।

 

ভোলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মাহমুদ খান জানান, করোনার প্রথম ধাপে ২৮ টি বেসিন নির্মাণ করা হয়েছিল। করোনা পরবর্তী সময়ে এগুলি আর দেখা হয়নি। নির্মাণের সময় স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পানি সরবরাহ করবে বলে তারা প্রস্তাব রেখেছিল।

 

তিনি আরও বলেন, বেসিনগুলো ব্যবহারের উপযোগী করতে সকল উপজেলায় চিঠি পাঠানো হবে। এগুলো রক্ষণাবেক্ষণের জন্য একজন মনিটরিং অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ভোলার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী বাবুল আখতার জানান, বছরের পর বছর সহযোগিতা করা যায় না। যখন জরুরি ছিলো, পানি সরবরাহ করেছি। কিন্তু হাত ধোয়ার পাশাপাশি বাজারের ব্যবসায়ীরা এ পানি ব্যবহার করতেন। তাই আমরা পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি বলেন, জনস্বার্থে পানি সরবরাহ করবে ভোলা পৌরসভা। ভোলার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন এই প্রকৌশলী।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ