ঢাকা ২৮শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:২০ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩
সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধিঃ নওগাঁর সাপাহারের তিলনী সরলী দাখিল মাদ্রাসার এমপিওভুক্তির আগের শিক্ষকদের বাদ দিয়ে পরের বেতন পাওয়া সেই তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আগামীকাল রোববার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. জাকির হোসেন তদন্তের জন্য তাঁর নিজ কার্যালয়ে দুই পক্ষকে ডেকেছেন। এ তদন্তের চিঠি দুই পক্ষকে পৌঁছে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুনকে।
জানা যায়, গত ২০২২সালে এমপিওভুক্ত হয় মাদ্রাসাটি। মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে বিনা বেতনে যেসব শিক্ষক-কর্মচারীরা নিঃস্বার্থভাবে শ্রম দিয়ে তিল তিল করে মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠিত করেছে তাদের মধ্যে তিন জন শিক্ষককে বাদ দিয়ে বিধিবহির্ভূত ভাবে বিপুল অঙ্কের টাকার বিনিময়ে অন্য তিন জনের নামে এমপিও করিয়েছেন মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. ফিরুজ হোসেন। ওই মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট মো. ফিরুজ হোসেন ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ শিক্ষাতথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ২০২২ সাল পর্যন্ত পূর্বের শিক্ষকদের তথ্য আপলোড করা হয়।
২০২২ সালে মাদ্রাসাটি এমপিওভুক্ত হওয়ার পর নতুন করে পূর্বের ওই শিক্ষকদের বাদ দিয়ে ভূয়া তিন জনের নাম দেন মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট। এমপিওভুক্তির পূর্বের শিক্ষকগণ করোনার সময় সরকারি অনুদান পান এমনকি তারা ২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনে পোলিং অফিসার হিসেবে ভোট গ্রহণও করেন। এরপরও তাদের বাদ দিয়ে ভূয়া ভাবে অন্যদের এমপিও করানোয় স্থানীয়দের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
তদন্তের চিঠি পৌঁছানোর সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্যাহ আল মামুন বলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) স্যারের পাঠানো চিঠি পাওয়ার পর পরই মাদ্রাসার সুপারিন্টেন্ডেন্ট ও অভিযোগ কারীদেরকে সেই চিঠি পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক