ঢাকা ১০ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়া বাজার সংলগ্ন তেঁতুলিয়া নদী থেকে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কালাম রাঢ়ি (৫০) নামের এক জলদস্যুকে আটক করেছে স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে ওই রাতেই বাউফল থানা পুলিশ ওই জলদস্যুকে আটক করে বাউফল থানায় নিয়ে আসেন। এ সময় তার কাছ থেকে সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে হয়। এঘটনায় বাউফল থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, বৃহষ্পতিবার রাত আটটার দিকে একদল ডাকাত ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে তেঁতুলিয়া নদীতে জেলেদের নৌকা ও ট্রলারে ডাকাতি করতে আসে। ডাকাতরা ডাকাতি করা শুরু করলে জেলেরা ইটপাটকেল মেরে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। জেলেদের চিৎকারে হাজার হাজার স্থানীয় লোকজন নদীর তীরে জমায়েত হয়।
এক পর্যায়ে ডাকাতদল পিছু হটে যাওয়ার সময় ইটের আঘতে কালাম রাঢ়ি নদীতে পড়ে গেলে জেলেরা রাত ৯টার দিকে তাকে আটক করে। এসময় অন্যান্য ডাকাতরা দ্রুত ট্রলার নিয়ে পালিয়ে যায়।
আটক জলদস্যুকে কেশবপুর ইউনিয়নের কালামিয়ার বাজারে এনে বাউফল থানায় খবর দিলে রাত ১২ টার দিকে এসআই অপু বিশ্বাস ও এসআই রুহুল আমিন একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে সাত রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে কালামকে থানায় নিয়ে আসেন।
ধৃত কামাল জানায়, ভোলা থানায় তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলাসহ আরো দুটি মামলা রয়েছে। তার নেতা ভোলা জেলার মহসিন বলেও দাবী করেন।
কেশবপুর ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শাহজাহান গাজী জানান, ভোলার জলদস্যুদের অত্যাচারে বাউফলের জেলেরা তেঁতুলিয়া নদীতে মাছ শিকার করতে পারছে না। আমরা কামালের মাধ্যমে সকল জলদস্যুদের নাম ঠিকানা জেনে তেঁতুলিয়া নদীকে জলদস্যুমুক্ত করার দাবি করছি।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, কালামের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে। কালামকে রিমান্ড চাওয়া হবে যাতে ডাকাতদের মূল সংঘবদ্ধ চক্রটি আইনের আওতায় আনা যায়।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক