মির্জাগঞ্জে যৌন নিপীড়নের শিকার শিশু, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা

প্রকাশিত: ৫:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৪, ২০২০

মির্জাগঞ্জে যৌন নিপীড়নের শিকার শিশু, গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা
নিউজটি শেয়ার করুন

 

পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে চার বছরের এক শিশু ও কলাগাছিয়া গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বুধবার রাতে যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুটির বাবা মির্জাগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

 

মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পূর্ব সুবিদখালী এলাকার একটি ভাড়া বাসায় থাকে তারা। মঙ্গলবার বিকেলে প্রতিবেশী জাহাঙ্গীরের বাসায় তার মেয়ের সাথে খেলতে যায় শিশুটি। এ সময় জাহাঙ্গীরের ছেলে খায়রুল (১৩) শিশুটিকে চানাচুর খাওয়ার লোভ দেখিয়ে অন্য ঘরে নিয়ে তাকে যৌন নিপীড়ন করে। পরে শিশুটি কান্না করতে করতে বাসায় ফিরে গেলে রক্তক্ষরণ দেখে তার মা তাকে জিজ্ঞেস করলে বলে, ‘আম্মু ওই বাসার ভাইয়া আমারে ব্যথা দিছে।’ লজ্জায় কাউকে কিছু না বলে চুপ থাকে তারা। পরের দিন শিশুটি যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকলে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা: শামীম আহমেদ নিপীড়নের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পরে শিশুটিকে পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

 

শিশুটির বাবা বলেন, ‘মির্জাগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ করছি। এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

 

অপর দিকে উপজেলার কাকড়াবুনিয়া ইউনিয়নের কলাগাছিয়া গ্রামে এক গৃহবধূকে (২৮) ধর্ষণের চেষ্টা করেন একই গ্রামের মালেক খান ( ৪০) নামের এক ব্যক্তি। এ ব্যাপারে গত বুধবার উপজেলা নির্বাহী অফিসের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ওই গৃহবধূ। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার থানার অফিসার ইনচার্জকে বিষয়টি দেখতে বলেন।

 

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী ঢাকায় কাজ করেন। দুই সন্তান নিয়ে তিনি বাড়িতে থাকেন। এই সুযোগে মালেক প্রায় সময় তাকে কু-প্রস্তাব দিতেন। বিষয়টি তার স্বামীকে জানালে মালেককে তার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে এবং বাড়িতে যেতে নিষেধ করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এতে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাতে ঘরে ঢুকেন মালেক। পরে তার সাথে থাকা গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। কোনো মতে ছাড়া পেয়ে ওই গৃহবধূ চিৎকার শুরু করেন। পরে লোকজনের আলাপ পেয়ে মালেক পালিয়ে যান।

 

স্থানী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য জাকির খান বিষয়টি মীমাংসা করে দিবে বলে কালক্ষেপণ করায় অভিযোগ করতে দেরি হয়।

 

এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো: জাকির খান বলেন, বিষটি নিয়ে বসার কথা ছিলো। কিন্তু যেহেতু অভিযোগ হয়েছে এখন কী আর করার।

 

এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মির্জাগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শওকত আনোয়ার ইসলাম বলেন, শিশুটির বাবা অভিযোগ করছে। অভিযোগটি এজাহারভুক্ত করে নিয়মিত মামলা হিসেবে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে অইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। আর কলাগাছিয়ায় গৃহবধূ ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ