মা

প্রকাশিত: ১১:২০ পূর্বাহ্ণ, জুন ২৪, ২০২৩

মা
নিউজটি শেয়ার করুন

 

একমাত্র ছেলের গায়ে হাত তুলেছিলাম বলে আমার স্বামী তেড়ে আসতে লাগলো আমাকে মারার জন্য। ঠিক তখনই রুম থেকে আমার মাকে বেরিয়ে আসতে দেখে রায়হান সেখানেই দাঁড়িয়ে যায়। হয়তো বা প্রচুর লজ্জায় পড়ে গিয়েছিলো।  মা মুচকি একটা হাসি দিয়ে বলতে শুরু করলো,

 

 

” কি হলো বাবা? সন্তানের গায়ে হাত তুলেছে বলে কি খুব বেশি রাগ হলো? অথচ তুমি যে আমার মেয়েকে দিনের পর দিন মেরে এসেছো তাতে কি আমার কষ্ট লাগে নি? আমার কি রাগ হয় নি? তোমাদের একমাত্র ছেলে অয়ন। তেমনি নীলা আমারও একমাত্র মেয়ে। আমারও তো মন আনচান করে নিজের মেয়ের মুখখানা একবার দেখতে। আমি তো মা! আমি সবই বুঝতে পারি আমার মেয়ের সাথে দিনের পর দিন কি ঘটে চলেছে। ”

 

 

সেদিন মায়ের কথায় রায়হান প্রচুর লজ্জা পেয়েছিলো। আমি শুধু নীরবে আমার অশ্রু ঝড়িয়েছিলাম।

 

 

আজ সেদিনের প্রায় আঠারো বছর পার হয়ে গিয়েছে। সেদিনের পর থেকে রায়হান যেনো পুরোপুরি বদলে গিয়েছিল। আজ আমার ছেলের বউ আছে। কখনো যদি নিজের বউয়ের গায়ে হাত তুলতে যায়, রায়হানই তার প্রতিবাদ করে।

 

 

আজ সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই মায়ের কথা খুব মনে পড়ছিলো। কেথায় আমার সেই মা? কত বছর হয়ে গেছে তাকে আর দেখি না। মায়ে কথা ভাবতে গেলেই যেনো চোখের অশ্রু আর বাঁধ মানে না। দূরের ওই আকাশের দিকে তাকালেই যেনো আমার মায়ের মায়াবী মুখখানা দেখতে পাই।

 

 

ধন্যবাদ তেমাকে মা! আমার জীবনটা বদলে দেওয়ার জন্য। প্রতিটি সন্তানপর শিক্ষক হিসেবে প্রতিটা মা আজীবন তাদের মনে বেঁচে থাকে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ