মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে লাশ হলো শিশুছেলে

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩, ২০২০

মায়ের মুখে হাসি ফোটাতে গিয়ে লাশ হলো শিশুছেলে
নিউজটি শেয়ার করুন

শিশু সন্তানের হত্যার বিচারের দাবিতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে নড়াইল প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন হতদরিদ্র মা আন্না বেগম।

 

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় নড়াইল প্রেস ক্লাবের সামনে মেয়ে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী রোকছানাকে সঙ্গে নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন। দেড় বছর আগে তার শিশু সন্তান চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বিরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

 

অবস্থানকালে আন্না বেগম তার শিশু সন্তান হত্যাকারীদের খুঁজে বের করা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

 

জানা যায়, ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র সাব্বির হোসেন জেলার কালিয়া উপজেলার খড়রিয়া গ্রামের শাহাদত হোসেনের ছেলে। বাবা তার মায়ের কোনো খোঁজ-খবর নিতেন না। যার কারনে মা আন্না বেগমের সঙ্গে নড়াইল পৌর এলাকার বিজয়পুরে নানা বাড়িতে বসবাস করতো। বাবা খোঁজ-খবর না নেয়ায় শিশু সাব্বিরকেই সংসারের হাল ধরতে হয়। শিশু বয়সেই পড়াশোনার পাশাপাশি ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালিয়ে দরিদ্র মায়ের মুখে হাসি ফোটানোর চেষ্টা করেন।

 

২০১৯ সালের ১৫মার্চ বিকেলে বাড়ি থেকে ভ্যান নিয়ে বের হয় সাব্বির। পরে আর বাড়ি ফেরেনি। এর দু’দিন পর ১৭ মার্চ বাড়ির থেকে ৩ মাইল দূরে নড়াইল-গোবরা সড়কে কাড়ারবিল এলাকায় একটি ডোবার মধ্যে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সময় ধারণা করা হয় সাব্বিরকে হত্যা করে ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি দুর্বৃত্তরা নিয়ে যায়।

 

এ ঘটনায় সাব্বিরের মা আন্না বেগম বাদী হয়ে ১৯মার্চ সদর থানায় কারো নাম উল্লেখ না করে নড়াইল সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটির কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় বাদীর আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলা তদন্তে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়।

 

এ ব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আরমিন বলেন, মামলাটি আমরা চার মাস পর পাই। তখন সন্দেহভাজন তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। কিন্ত কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। আমরা অপরাধীদের খুঁজে বের করতে অত্যন্ত আন্তরিকভাবে চেষ্টা করছি। কিন্তু বাদী বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের নাম বলায় আমরা বিভ্রান্ত হচ্ছি। কিন্তু আমরা ঠান্ডা মাথায় মামলাটির তদন্ত করছি। চার্জশিট এখন দেয়া সম্ভব হয়নি। প্রকৃত দোষীদের খুজে বের করার চেষ্টা করছি।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ