ঢাকা ১৩ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সৌমিত্র মজুমদার শুভ নামে এক যুবক জীবিকার সন্ধানে বেছে নিয়েছেন মাশরুম চাষ। তিনি ২০১৭ সালে এলএলবি পাস করে ঢাকায় এক আইনজীবীর সহকারী হিসেবে কাজ শুরু করেন। কিন্তু করোনাকালীন আদালত বন্ধ থাকায় তিনি এলাকায় ফিরে আসেন।
বেশ কিছুদিন বেকার থাকার পর জার্মানিতে থাকা খালাতো বোনের পরামর্শে তিনি প্রথমে ৫০টি স্পন প্যাকেট দিয়ে শুরু করেন মাশরুম চাষ। ফল ভাল হওয়ায় উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের নবাবগঞ্জ গ্রামে মাত্র ২০ শতাংশ জমিতে দুটি সেডের মাধ্যমে বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলেন খামার। বর্তমানে তার খামারে প্রায় ২ হাজার স্পন প্যাকেট রয়েছে। আর এ থেকে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মাশরুম বিক্রি করে মাসে আয় করছেন প্রায় লাখ টাকা। শুভর এ সাফল্য দেখে গর্বিত তার স্বজনরা।
সৌমিত্র মজুমদার শুভ বলেন, সাভারের শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন ট্রেনিং সেন্টারে তিন মাসের প্রশিক্ষণ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে মাশরুম চাষ শুরু করেন। এতে খড়, কাঠের গুড়া, গমের ভূষি, তুষ ও চুন ব্যবহার করা হয়। আর সঠিক পরিচর্যায় ২০ দিনের মাথায় শুরু হয় ফলন। বর্তমানে তার খামার থেকে প্রতিদিন ১৫ কেজি করে মাশরুম পাচ্ছেন। তাতেও মেটাতে পারছেন না স্থানীয় চাহিদা। তবে সরকারি সহায়তা কিংবা স্বল্প সুদে ঋণ সহায়তা পেলে এ খামার বৃদ্ধির মাধ্যমে বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারবেন বলে দাবি তার।
শুভর খালাতো বোন জার্মান প্রবাসী রত্না বিশ্বাস বলেন, বিদেশে প্রতিদিনের খাদ্যে মাশরুম ব্যবহার হয়। এটা স্বাস্থ্যকর খাবার। বাংলাদেশে এর প্রচলন খুবই কম। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় এই প্রথম মাশরুম চাষ শুরু হয়েছে। আশা করি এখানে বড় কিছু হবে ও অনেক কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, মাশরুম চাষি শুভকে পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া মাশরুম চাষে আগ্রহী যুবকদের সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক