ভোলায় বিয়ে বাড়িতে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫

প্রকাশিত: ৯:৫৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ২, ২০২৩

ভোলায় বিয়ে বাড়িতে টাকা আদায় নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১৫
নিউজটি শেয়ার করুন

 

ভোলায় বিয়ে বাড়ির গেটে টাকা আদায়কে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়েছে। ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের কনে, কনের মা-বাবা, বরের বাবাসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

 

 

এতে পণ্ড হয়ে গেছে বিয়ের অনুষ্ঠান। আহতদের ১২ জনকে ভোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার (৩০ জুন) দুপুরে শহরের শহরতলী জামিরা লতা মুন্সি সরদার বাড়ির হারুন অর রশিদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

 

 

শনিবার (১ জুলাই) ভোলা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

 

জানা গেছে, দু’মাস আগে শহরতলী হারুন অর রশীদের মেয়ে নূপুরের সাথে একই এলাকার জাকির হোসেনের ছেলে শরীফের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। শুক্রবার বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছিল। এতে বরকে বরণ করার জন্য কনেপক্ষ বাড়ির দরজায় গেট নির্মাণ করে। ওই গেটের টাকা দেয়াকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। এরই জেরে বরপক্ষের লোকজন হকস্টিক ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে কনে বাড়িতে হামলা চালিয়ে বিয়ের প্যান্ডেল, চেয়ার টেবিল ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে এবং অতিথি আপ্যায়নের জন্য রান্না করা খাবার তছনছ করে। এসময় উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের কনে, কনের মা, বাবা, ভাই, বরের বাবা, খালুসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতাল ভর্তি করে।

 

 

কনেপক্ষের অভিযোগ, হামলাকারী বরপক্ষের লোকজন ভাঙচুরের পাশাপাশি ঘর ও বিয়ের মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে। তবে লুটের কথা অস্বীকার করে তাদের ওপর আগে হামলা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করে বরপক্ষ।

 

 

ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘটনাটি জানতে পারে। এরপর ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে থাকা আহতদের দেখতে পুলিশের একটি টিম যায়। এ ঘটনায় কনের বাবাকে থানায় অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু শনিবার দুপুর পর্যন্ত এ ঘটনায় কেউই থানায় কোনো অভিযোগ দেয়নি। উভয়পক্ষ স্থানীয়ভাবে এ ঘটনা সমাধান করে নিবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ