ভোলায় গৃহবধূকে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টা, আটক ২

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

 

ভোলা : ভোলার বোরহানউদ্দিনে যৌতুক না পেয়ে গৃহবধূ ইমাকে (১৯) আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠছে স্বামী মঞ্জু ও তার স্বজনদের বিরুদ্ধে। ওই বধূ উপজেলার বড়মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ বাটামারা গ্রামের প্রবাসী সালাউদ্দিনের মেয়ে।

 

২৭ ডিসেম্বর রাতে ভূক্তভোগীর বাড়ির পুকুর পাড়ে নির্জন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।মারাত্নক আহত ইমা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে বলে তার স্বজনরা জানান। এ ঘটনায় ২৮ ডিসেম্বর রাতে স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে। মঞ্জু ও তার বাবাকে মঙ্গলবার রাতে আটক করছে স্থানীয় থানা পুলিশ।

 

মামলার এজাহার, ভুক্তভোগীর স্বজন ও থানাসূত্র জানায়, ৬/৭ মাস আগে প্রতিবেশি মিলন আইট্টার ছেলে, মঞ্জু আইট্টা (২৫) সঙ্গে ইমার বিয়ে হয়। যৌতুক ছাড়া এই বিবাহ মঞ্জুর বাবা মিলন আইট্টা ও মা আমেনা বেগম মেনে নেয়নি।যার কারণে বিবাহের পর থেকে ইমা তার বাবার বাড়িতেই থাকতেন। স্বামী মঞ্জু প্রায়শই ইমার কাছে আসা যাওয়া করতো। ঘটনার দিন স্বামী মঞ্জু ইমাদের বাড়িতে যায়। খাবার খেয়ে সকলে ঘুমিয়ে পড়লে রাত অনুমান ১১টা ৩০মিনিটে মঞ্জু ইমাকে ডেকে ঘরের দক্ষিণ পাশে পুকুর পাড়ে নিয়ে যায়। সেখানে ইমাকে তার পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের আদায় করার কথা বলে। ইমা দিতে অস্বীকার করলে, মঞ্জু ইমার গায়ের ওড়না দ্বারা হাত-পা বেঁধে, মুখ চেপে ধরে মার ধর করে।একপর্যায়ে ইমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইমার গায়ে আগুন লাগিয়ে পালিয়ে যায়।ইমার ডাক চিৎকারে ইমার মা চাচিসহ অনেকে এসে উদ্ধার করে। আহত ইমাকে পরদিন বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন স্বজনরা।

 

কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐ রাতে তাকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ণ ইউনিটে পাঠায়। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একটি মামলা হয়েছে।

 

বোরহানউদ্দিন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মাজাহারুল আমিন বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে স্বামী মঞ্জু ও তার বাবাকে আটক করা হয়েছে। ঘটনাটি অত্যান্ত দুঃখজনক এবং স্পর্শকাতর।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ