ভাসানচর পরিদর্শনে ৪০ রোহিঙ্গা নেতা

প্রকাশিত: ৪:০৫ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২০

ভাসানচর পরিদর্শনে ৪০ রোহিঙ্গা নেতা
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নোয়াখালীর ভাসানচরে তৈরি করা আশ্রয়ন প্রকল্পটি বসবাসের উপযোগী কি না তা সরেজমিনে পরিদর্শনে গেছেন কক্সবাজারের শরণার্থী শিবিরের ৪০ রোহিঙ্গা নেতা। আজ ৫ সেপ্টেম্বর, শনিবার সকালে তাদের নিয়ে সেনাবাহিনীর দুটি বাস উখিয়ার ট্রানজিট ক্যাম্প থেকে চট্টগ্রামের দিকে রওয়ানা হয়।

 

পরে সেখান থেকে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে জলযানে করে তাদের ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া হবে। ৪০ সদস্যের এই প্রতিনিধি দলে ২ জন নারীও রয়েছেন। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মাহবুব আলম তালুকদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

 

জানা গেছে, ৪০ জনের প্রতিনিধি দলে প্রতিটি ক্যাম্প থেকে নির্বাচিত রোহিঙ্গা নেতারা রয়েছেন। ভাসানচর পরিদর্শন শেষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার তারা কক্সবাজার শরণার্থী ক্যাম্পে ফিরে আসবেন।

 

কমপক্ষে এক লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভাসানচরে পাঠানোর অংশ হিসেবে এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা। তবে এই দলের সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সহায়তাকারী জাতিসংঘের কোনো সংস্থার প্রতিনিধি বা গণমাধ্যমকর্মীদের রাখা হয়নি।

 

সেখানে আগে থেকেই ভাসানচরে আরআরআরসি কার্যালয়ের তিন কর্মকর্তা অবস্থান করছেন বলে জানা গেছে। রোহিঙ্গা নেতারা দেখে এসে অন্যদের বোঝালে শরণার্থীরা ভাসানচর যেতে রাজি হবেন বলে আশা করছে সরকার।

 

এ বিষয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) মুখপাত্র মোস্তফা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘এ সম্পর্কে আমরা কিছুই জানি না। আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি।’

 

তাছাড়া ভাসানচরে থাকা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের স্বজনরাও যোগাযোগ করতে পারছেন না উল্লেল করে তিনি বলেন, ‘এখনো আমরা সরকারের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

 

আর কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানিয়েছেন, ভাসানচর সম্পর্কে রোহিঙ্গাদের ধারণা দিতে এই ‘গো অ্যান্ড সি’ ভিজিট।

 

কক্সবাজারের শরণার্থী শিবির ও তার বাইরে অবস্থান করছে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা নাগরিক। তাদের নিয়ে নানারকম সামাজিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে তাদের একটি অংশকে হাতিয়ার কাছে মেঘনা মোহনার বিরান দ্বীপ ভাসান চরে স্থানান্তরের এই পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

 

সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকা ব্যয়ে মোটামুটি ১০ হাজার একর আয়তনের ওই চরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এতে এক লাখের বেশি মানুষের বসবাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ