বাপেক্স-পেট্রোবাংলা দিয়ে ভোলার গ্যাস উত্তোলনের দাবি

প্রকাশিত: ৫:৫৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

 

 

বরিশাল : ভোলার গ্যাস বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ইজারা না দেয়া, দেশের কোম্পানি দিয়ে উত্তোলন করা ও বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিতসহ তিন দফা দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।

 

বুধবার ( ২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বরিশাল নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনের সদর রোডে এ বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) বরিশাল জেলা শাখা।

 

সমাবেশে বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে অবিলম্বে চুক্তি বাতিল করে দেশের কোম্পানি বাপেক্স-পেট্রোবাংলার সাহায্যে ভোলার গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের দাবি জানান বক্তারা। দাবি মানা না হলে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়ার ঘোষণা দেন বাসদ নেতারা।

 

বরিশাল জেলা বাসদের আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- বাসদের জেলা সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন দিদার, সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের শহীদুল, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

 

ডা. মনীষা চক্রবর্তী বলেন, ২০১৭ সালে ভোলার দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে বাপেক্স। তারা গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে সক্ষম হলেও গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের সঙ্গে চুক্তি করা হচ্ছে। বিদেশি কোম্পানি দিয়ে এই গ্যাস উত্তোলনে খরচ হবে দ্বিগুণ। গ্যাস উত্তোলনের কাজ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের তুলনায় সহজ। বাপেক্স এই কাজটি দীর্ঘদিন ধরে দক্ষতার সঙ্গে করে যাচ্ছে। যেখানে বাপেক্স একটি গ্যাসকূপ খননে সর্বোচ্চ ৮০ কোটি টাকা খরচ করে সেখানে গ্যাজপ্রমের সঙ্গে একই কাজ ১৮০ কোটি টাকায় চুক্তিতে করা হচ্ছে। যেখানে বাপেক্স প্রতি বছর ৩-৪টি কূপ খননের ক্ষমতা রাখে সেখানে বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে কেন চুক্তি করা হচ্ছে। এটি দেশের সম্পদ লুটপাটের পাঁয়তারা ছাড়া আর কিছুই নয়।

 

বাসদ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইমরান হাবিব রুমন বলেন, ভোলার গ্যাস উত্তোলনে বিদেশি কোম্পানি গ্যাজপ্রমকে ইজারা দেয়া কোনোভাবেই মেনে নেয়া হবে না। মালিকানা নিশ্চিত করে ভোলার গ্যাস দেশের কোম্পানি দিয়ে উত্তোলন করতে হবে। বরিশাল বিভাগে গ্যাসভিত্তিক কারখানা নির্মাণ করে কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের দাবি মানা না হলে বরিশালে বিভাগীয় সমাবেশ, লংমার্চ এবং প্রয়োজনে হরতালের মতো কঠোর কর্মসূচি দেয়া হবে।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ