ঢাকা ৯ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২০
বরিশাল : বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) মাদকাসক্ত সদস্যদের কপাল পুড়ছে। ইতিমধ্যে ডোপ টেস্টে পজেটিভ হয়েছে ১৭জন সদস্য। এদের মধ্যে সরাসরি মাদক কেনা বেচায় জড়িত ৫জনকে মাদক সহ গ্রেফতার করে পাঠানো হয়েছে কারাগারে। এই ১৭ জনের মধ্যে ইতিমধ্যে ৪জনকে চূড়ান্তভাবে চাকুরীচ্যুত করা হয়েছে। আরও কয়েক জনের নাম চাকুরীচ্যুতি তালিকায় অপেক্ষমান রয়েছে।
মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. শাহাবুদ্দিন খান।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সন্দেহভাজন সদস্যদের ডোপ টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু হয় গত বছর অক্টোবরে। এরপর থেকে প্রতি মাসে দৈবচায়ন পদ্ধতিতে ডোপ টেস্ট করা হচ্ছে সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্যদের। গত ১৫ মাসে মোট ৪৮জন পুলিশ সদস্যের ডোপ টেস্ট করা হয়। এর মধ্যে ১৭ জনের রিপোর্ট পজেটিভ হয়। অর্থাৎ তারা মাদকসেবী। এছাড়া পুলিশের অভ্যন্তরীন নজরদারীতে ওই ১৭ জনের মধ্যে ৫ সদস্যদের বিরুদ্ধে মাদক বিক্রির সাথে জড়িত থাকার প্রমান পায় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ।
বিএমপি’র উপ-কমিশনার (সদর) আবু রায়হান মো. সালেহ জানান, গত ১৫ মাসে ডোপ টেস্টে বিএমপি’র ১৭জন পুলিশ সদস্যের রিপোর্ট পজেটিভ হয়। এদের মধ্যে ৫জন সরাসরি মাদক কেনাবেচায় জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে মাদক মামলা দায়ের করে ওই মামলায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকী ১২ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। ডোপ টেস্টে পজেটিভ ১৭ সদস্যদের মধ্যে ইতিমধ্যে কনস্টেবল থেকে এএসআই পর্যায়ের ৪জনকে চূড়ান্তভাবে চাকুরী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। রিপোর্ট পজেটিভ আরও ৮ থেকে ১০ জন সদস্যকে চূড়ান্তভাবে চাকুরীচ্যুত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে তিনি জানান।
উপ-কমিশনার আরও বলেন, মাদকাসক্ত সদস্যদের ধরতে পুলিশের প্রতিটি ইউনিটে গোয়েন্দা নিয়োগ করা হয়েছে। এছাড়া ইউনিট প্রধানরা কাউকে সন্দেহ করলে তারা গোপনে কমিশনার কার্যালয়ে মাদকাসক্ত কিংবা মাদক কারবারী পুলিশ সদস্যদের তালিকা প্রেরন করেন। তাদের কৌশলে ডেকে এনে মুখের লালা সহ অন্যান্য নমূনা সংগ্রহ করে ডোপ টেস্ট করা হয়। এদের মধ্যে যাদের রিপোর্ট পজেটিভ হয় তাদের কিছুদিন পর আবার ডোপ টেস্ট হয়। এরপরও মাদকাসক্তি নিশ্চিত হতে তাদের তৃতীয়বার ডোপ টেস্ট করা হয়। এই প্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সর্বনিম্ন একজন সহকারী কমিশনার সম্পৃক্ত থাকেন। সর্বোচ্চ সতর্কতা এবং স্বচ্ছতা রক্ষা করে দৈবচায়ন ভিত্তিতে তাদের ডোট টেস্ট সহ পরবর্তী অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়। তাদের ন্যায় বিচার বঞ্চিত হওয়ার কোন সুযোগ নেই।
সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক