বরিশাল বিভাগের জেলে পাবেন ভিজিএফের চাল

প্রকাশিত: ৪:৪৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১২, ২০২০

বরিশাল বিভাগের জেলে পাবেন ভিজিএফের চাল
নিউজটি শেয়ার করুন

 

শুরু হচ্ছে ইলিশের ডিম ছাড়ার প্রধান মৌসুম। এ কারণে আগামী ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত টানা ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকবে। সরকারি এ নির্দেশনা অনুযায়ী ওই ২২ দিন ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ। এ নির্দেশনা অমান্য করলে নেওয়া হবে আইনানুগ ব্যবস্থা।

 

দীর্ঘ ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ থাকলে জেলেদের রোজগারও বন্ধ হয়ে যায়। তাই এ সময় সরকারের পক্ষ থেকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়ে থাকে। এবারও সে সহায়তা দেওয়া হবে।

 

নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার ৪১ উপজেলায় দুই লাখ ৮২ হাজার ৫০০ জেলে পরিবারের জন্য পাঁচ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বরিশাল বিভাগের মৎস্য অধিদপ্তর। ফলে প্রতি পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে।

 

মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভাগের মধ্যে বরিশাল জেলায় ৪৭ হাজার জেলে পরিবারকে ৯৪০ মেট্রিক টন, পিরোজপুর জেলায় ১৭ হাজার জেলে পরিবারকে ৩৪০ মেট্রিক টন, পটুয়াখালী জেলায় ৫৮ হাজার জেলে পরিবারকে এক হাজার ১৬০ মেট্রিক টন, ভোলা জেলায় এক লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে দুই হাজার ৪০০ মেট্রিক টন, বরগুনা জেলায় ৩৭ হাজার জেলে পরিবারকে ৭৪০ মেট্রিক টন ও ঝালকাঠি জেলায় তিন হাজার ৫০০ জেলে পরিবারের জন্য ৭০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

 

মৎস্য অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর রহমান তালুকদার জানান, ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধ মৌসুমে কেউ মাছ আহরণে নদীতে নামলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। প্রতিটি জেলে পরিবার ২০ কেজি করে চাল পাবে। প্রতিটি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এসব চাল উপজেলা মৎস্য অফিসের তালিকাভুক্ত জেলেদের ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে দেবেন।

 

সরকারের নানা পদক্ষেপের কারণে গত কয়েক বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে। যেখানে ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন ছিল দুই দশমিক ৯৯ লাখ মেট্রিক টন। সেখানে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন বেড়ে পাঁচ দশমিক ৩৩ লাখ মেট্রিক টনে উন্নীত হয়েছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ