ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:২৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৮, ২০২৩
বাকেরগঞ্জে প্রেম ঘটনার কেন্দ্র করে নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা!
ভালোবাসার পাত্রকে নিজের করে না পেয়ে অনেকে সারা জীবন একাকী কাটিয়ে দেন। আত্মহত্যা করেন অনেকে। এমনি এক ঘটনা ঘটেছে বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার পৌর এলাকার ৬ নং ওয়ার্ডে।
উপজেলা শহরের পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন গারুড়িয়ার মো: ফারুক জমাদ্দারের নবম শ্রেণীর পড়ুয়া কন্যা উর্মি আক্তার (১৬) কান্তা হাসান মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে গত দেড় বছর আগে পরিচয় হয় পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাহ আলমের পুত্র নাজমুলের সাথে। প্রেমিকা নাজমুল এসএসসি পরীক্ষার্থী।
যেই বয়সে লেখাপড়ায় মন দেয়ার কথা সেই বয়সে তারা প্রেমে মজে দুজনে মিলে ঘর ছেড়ে কিছুদিন আগে পালিয়ে ছিলেন ঘর বাধার স্বপ্ন নিয়ে। সেই স্বপ্নের ঘর বালুচরে বাধা ঘরের মতই ভেঙে যায় তাদের। কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে প্রেমিক প্রেমিকাকে ফিরতে হয় বাড়িতে। এইসব ঘটনা স্থানীয়ভাবে, সালিশ মীমাংসার মাধ্যমে প্রেমিক-প্রেমিকাকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ঘটনার কিছুদিন পার হতে না হতেই ৭ অক্টোবর রাতে প্রেমিকা নাজমুল প্রেমিক উর্মিকে ফোন করে ডেকে আনেন তার নিজ বাড়িতে। নাজমুলের পরিবার আজ সকালে উর্মিকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। নাজমুল উর্মির প্রেমের ঘটনা ইতি টানতে নাজমুলের বাবা শাহ আলম ও তার খালা উর্মির গলায় তার ওড়না পেচিয়ে ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
গলায় ফাঁস পড়ে উর্মি জ্ঞান হারালে তাকে মৃত ভেবে বাড়ির দরজায় রাস্তায় ফেলে আসে। স্থানীয়রা সড়কে পরিত্যক্ত উর্মিকে দেখে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসে। চার ঘন্টা পরে উর্মীর জ্ঞান ফিরলে তার পিতা মাতাকে খবর দেওয়া হয়। উর্মির মা রুবি বেগম আক্ষেপ করে বলেন আমার মেয়েকে যারা হত্যা করতে চেয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রেমিক উর্মী এখনো কথা বলতে বলতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে তবে মেডিকেলের বিছানায় কাতরালেও ঘুরি ফিরি খুঁজছেন তার প্রেমিকা নাজমুলকে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক