বরিশালে পাচারকালে হাজার বস্তা সরকারি চাল জব্দ

প্রকাশিত: ৯:০৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৪, ২০২১

বরিশালে পাচারকালে হাজার বস্তা সরকারি চাল জব্দ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরিশালে পাচারকালে সরকারি খাদ্য গুদামের এক হাজার বস্তা চালসহ একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার জব্দ করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে ট্রলার চালককে।

 

শনিবার দুপুর ২টার দিকে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকা হতে ওই চাল জব্দ করা হয় বলে জানিয়েছেন বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান।

 

তিনি জানিয়েছেন, ‘একটি স্টিলবডি ট্রলারে ৫০ কেজি ওজনের এক হাজার বস্তায় ৫০ মেট্রিকটন সরকারি চাল পাচার হচ্ছিল। বরিশাল জেলা পরিষদের সদস্য মাইনুল ইসলাম পারভেজ মৃধা লোকজন নিয়ে ট্রলারটি আটক করে থানা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানান।

 

ওসি বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ট্রলারসহ চাল জব্দ করেছি। পাশাপাশি ট্রলারের চালক আব্দুস ছত্তারকে আটক করা হয়েছে। জব্দকৃত চালের বস্তায় খাদ্য অধিদপ্তরের নাম লেখা রয়েছে।

 

আটক ট্রলার চালক আব্দুস ছত্তারের বরাত দিয়ে ওসি জানিয়েছেন, ‘জব্দকৃত চালগুলো বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার পাতারহাট গোডাউনের। জাহাজে আসা চাল থেকে এক হাজার বস্তা চোরাইভাবে কালোবাজারে বিক্রির জন্য ট্রলার যোগে পটুয়াখালীর কালকিনি নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

 

ওসি বলেন, ‘সরকারি চাল পাচারের ঘটনার সাথে কারা জড়িত রয়েছে সেটা তদন্ত করে বের করে হবে। তাছাড়া এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধিন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মিজানুর রহমান।

 

অপরদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালের ১৩ এপ্রিল বরিশালের হিজলা খাদ্যগুদাম থেকে পাচারকালে ৪২ মেট্রিকটন চাল জব্দ হয় পটুয়াখালীর বাউফলে। এসময় আটক করা হয় মেহেন্দিগঞ্জের ট্রলার মাঝি জয়নাল চৌকিদার ও বাউফলের বগা বাজারের চাল ব্যবসায়ী শাহজাহান হাওলাদারকে।

 

ওই চাল পাচারের ঘটনায় উঠে আসে স্থানীয় এক শীর্ষ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি’র আপন চাচাত ভাই এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বিরুদ্ধে। তবে শনিবার জব্দকৃত চাল পাচারের ঘটনায় একই জনপ্রতিনিধি’র অনুসারী আলমগীর নামের জনৈক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার সম্পৃক্ততার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। ওই নেতাই মেহেন্দিগঞ্জের পাতারহাট খাদ্য গোডাউনের অঘোষিত নিয়ন্ত্রক বলে দাবি সূত্রের।

 

সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, ‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সঙ্গে রাজনৈতিক বিরোধের সূত্র ধরেই চোরাই চালগুলো জব্দ করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ এবং উপজেলা প্রশাসন। প্রশাসনের এ সফলার সঙ্গে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সহযোগিতা রয়েছে বলেও দাবি সূত্রের।

 

এ বিষয়ে জানতে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তিনি ফোন রিসিভ না করলেও তার স্ত্রী পরিচয় দিয়ে একজন নারী ফোর রিসিভ করে খাদ্য কর্মকর্তা বাসায় না থাকার বিষয়টি জানান।

 

তাছাড়া উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বক্তব্য জানতে তাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা সত্যেও তারা কল রিসিভ করেননি।

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ