বরিশালে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতকালে তরুণীর মৃত্যু

প্রকাশিত: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ৯, ২০২৩

বরিশালে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতকালে তরুণীর মৃত্যু
নিউজটি শেয়ার করুন

 

শারীরিক সম্পর্কে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া মাদরাসা ছাত্রীকে ওষুধ খাইয়ে গর্ভপাতের চেষ্টাকালে তার মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।

 

 

নিহত মাদরাসা ছাত্রী ফাতেমা আক্তার মিম বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপাশা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের ওমর ফারুক হাওলাদারের মেয়ে এবং একই ইউনিয়নের দর্জিবাড়ি দাখিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন।

 

 

এছাড়া অভিযুক্ত যুবক একই উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের মৃত রাজ্জাক গাজীর ছেলে শাকিল গাজী। সে বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন।

 

 

পুলিশ ও তরুণীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ‘অভিযুক্ত শাকিল গাজীর সাথে মাদরাসা ছাত্রী মিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে মিমের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে শাকিল। এতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে তরুণী।

 

 

বিষয়টি জানার পর তরুণীকে ওষুধ খায়িয়ে গর্ভপাতের চেষ্টা করে শাকিল ও তার পরিবার। এতে ওই তরুণীর প্রচন্ড রক্তক্ষরণ শুরু হলে তাকে ভর্তি করা হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

 

 

দীর্ঘ ৮ দিন মৃত্যুর সাথে পাঞ্চা লড়ে রোববার সকালে শের ই বাংলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তরুণী।

 

 

নিহতের বাবা ওমর ফারুকের দাবি, ‘শাকিল গাজী পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। মাদরাসায় আসা-যাওয়ার সুবাধে তার সাথে মিমের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বাড়িতে কেউ না থাকলেই শাকিল দেখা করতে আসতো মিমের সাথে। একপর্যায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে।

 

 

 

তিনি বলেন, ‘হঠাৎ করে মেয়ের শারীরিক পরিবর্তণ দেখে সন্দেহ হয় তার মায়ের। কিন্তু অভাবের সংসার হওয়ায় তাকে ডাক্তার দেখাতে পারিনি। পরে বিষয়টি শাকিলকে জানানো হয়। এসময় সে অবৈধ সম্পর্কের কথা শিকার করে।

 

 

 

এরপর শাকিল তার বড় ভাইয়ের স্ত্রীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালিসুরি বাজারে একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। সেখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানতে পারে মিম তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এরপর থেকেই শাকিল, তার ভাবি ও বোন ইয়াসমিন ওষুধ খাইয়ে তার অবৈধ গর্ভপাতের চেষ্টা করে।

 

 

 

বাকেরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আলাউদ্দিন মিলন বলেন, ‘অভিযুক্ত শাকিল ও তার পরিবার ওই মাদরাসা ছাত্রীর অবৈধ গর্ভপাত ঘটাতে ওষুধ খাওয়ায়। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ফাতেমা আক্তার মিমকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রোববার তার মৃত্যু হয়।

 

 

 

তিনি বলেন, ‘মৃত্যুর পর ফাতেমার মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে বাকেরগঞ্জে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায় পরিবার। খবর পেয়ে থানা পুলিশ পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিয়েছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ