বরিশালের নতুন মেয়র নৌকার প্রার্থী খোকন

প্রকাশিত: ৯:২৫ অপরাহ্ণ, জুন ১২, ২০২৩

বরিশালের নতুন মেয়র নৌকার প্রার্থী খোকন
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল::  বরিশাল সিটি কর্পোরেশনে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত। সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে তিনি পেয়েছেন ৮৭ হাজার ৭৫২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম পেয়েছেন ৩৪ হাজার ৩৪৫ ভোট।

 

 

সোমবার (১২ জুন) মোট ১২৬ কেন্দ্রের বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে বরিশাল সিটির নতুন মেয়র হলেন আবুল খায়ের খোকন সেরনিয়াবাত।

 

 

বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচনে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ দেওয়া হয়েছে নৌকা এবং হাতপাখার পক্ষে থেকে। হাতপাখা প্রার্থী ফয়জুলের ওপর হামলার ঘটনায় নৌকার বিরুদ্ধে অভিযোগের পর এবার হাতপাখার বিরুদ্ধে নৌকার পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। নগরীর ছয়টি ওয়ার্ডে নৌকার সমর্থকদের মারধর, কেন্দ্রে আসতে বাধা প্রধান, নারীদের ধর্মীয় ব্যাখ্যা দিয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে নিষেধ করাসহ নানান অভিযোগ উঠেছে হাতপাখার বিরুদ্ধে।

 

 

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাতপাখা প্রার্থী মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমের ওপর নৌকার প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের হামলার অভিযোগ করা হয়েছে। এতে তিনি রক্তাক্ত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে মিডিয়া উপকমিটির সদস্য কেএম শরিয়তুল্লাহ জানান, দুপুরে ছাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে বের হওয়ার পর হাতেম আলী কলেজ চৌমাথার কাছে গেলে ৩০/৪০ জন নৌকার সমর্থক আমাদের প্রার্থীর ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠিসোটা ও পাথর ছুড়ে মারতে থাকেন নৌকার সমর্থকরা। হুজুর (ফয়জুল) ছাড়াও তার সঙ্গে থাকা বেশ কিছু নেতাকর্মী কমবেশি জখম হয়েছেন। হামলায় ফয়জুল করীমের নাক ও ঠোঁট ফেটে যায়। পরে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

 

 

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া মেইন রোডের একটি কেন্দ্রে প্রবেশ করাকে কেন্দ্র করে ফয়জুল করীমসহ দলটির নেতাকর্মীদের ওপর আরেক দফা হামলার অভিযোগ ওঠে।

 

 

ইসলামী আন্দোলনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, সকালে কাউনিয়ার মেইন সড়কের এ কাদের চৌধুরী স্কুল কেন্দ্রে হাতপাখার ভোটার ও মানিক মিয়া স্কুল কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনা শুনে ফয়জুল করীম কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ করে প্রিজাইডিং অফিসারকে অভিযোগগুলো জানান। এরপর মানিক মিয়া স্কুলের অপরদিকের কাউনিয়া বালিকা বিদ্যালয় ঢুকতে চান তিনি। তখন নৌকার নেতাকর্মীরা হাতপাখার প্রার্থীকে বলেন, কয়েকজন ভেতরে ঢুকতে পারবেন। আপনারা সবাই ঢুকলে আমরাও ঢুকব। তখন হাতপাখার প্রার্থীসহ দলটির নেতাকর্মীদের মারধর করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।

 

 

ফয়জুল করীমের অভিযোগ, কেন্দ্রে ঢুকতে চাইলে তাতে বাধা দেয় নৌকার লোকজন। তারপর আমরা ঢুকতে চাইলে আমাকেসহ নেতাকর্মীদের মারধর করে আহত করেন।

 

 

এর আগে, সকাল ৮টা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোট।

 

 

বরিশাল সিটিতে মেয়র প্রার্থী ছিল সাত জন। এছাড়াও ১১৮ জন সাধারণ ও ৪২ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থী ভোটে লড়েছেন। সবমিলিয়ে এই সিটিতে মোট ভোটার দুই লাখ ৭৬ হাজার ২৯৮ জন। এরমধ্যে এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৮৯ জন পুরুষ ও এক লাখ ৩৮ হাজার ৮০৯ জন নারী ভোটার।

 

 

নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডে একযোগে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। ছোট্ট এই সিটির ১২৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১০৬টি কেন্দ্রই গুরুত্বপূর্ণ (ঝুঁকিপূর্ণ) বলে জানিয়েছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) কমিশনার সাইফুল ইসলাম।

 

 

নির্বাচনে মোট ভোট কক্ষ ৮৯৪টি। প্রতিটি ভোট কক্ষে একটি করে এবং প্রতিটি কেন্দ্রের প্রবেশ পথে দুইটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। সবমিলিয়ে মোট এক হাজার ১৪৬টি ক্যামেরা ছিল।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ