ঢাকা ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৪৩ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২২
“বন্ধ্যত্বের অজুহাতে দ্বিতীয় বিয়ে ॥ প্রথম স্ত্রী তালাকে মরিয়া স্বামী” শিরোনামে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অবশেষে সত্যি হলো। পূর্বের দাবীকৃত যৌতুকের মোটা অংকের টাকা পরিশোধ না করায় প্রথম স্ত্রী স্কুল শিক্ষিকা মনিকা হালদারকে অমানুষিক নির্যাতন করে তার শিক্ষক স্বামী দীপক অধিকারী।
এ ঘটনায় থানায় দায়ের করা মামলার ভিত্তিতে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযুক্ত দীপক অধিকারীকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। দীপক অধিকারী বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার সরবাড়ি গ্রামের নারায়ন অধিকারীর ছেলে ও আস্কর মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের (বিদ্যালয় শাখার) শরীরচর্চা শিক্ষক। মামলার বাদি তার (দীপক) প্রথম স্ত্রী মনিকা হালদার একই উপজেলার জোবারপাড় গ্রামের গৌরাঙ্গ হালদারের মেয়ে ও নাঘিরপাড় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা।
শিক্ষিকা মনিকা হালদার অভিযোগ করেন, বন্ধ্যত্বের অজুহাতে তার স্বামী দীপক তাকে না জানিয়ে রুমা সিকদার নামের এক নারীকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। সম্প্রতি সময়ে দীপক তার কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। এজন্য প্রায়ই তাকে শারিরিক নির্যাতন করা হতো। এনিয়ে ¯’ানীয় পর্যায়ে সালিশ বৈঠকে কতিপয় প্রভাবশালী অভিযুক্ত দীপকের পক্ষালম্বন করে দীপকের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।
থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মাজহারুল ইসলাম এজাহারের বরাত দিয়ে জানান, সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারী দীপক ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা সিকদারের নির্যাতনের একপর্যায়ে স্থানীয়রা মনিকাকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় শিক্ষিকা মনিকা হালদার বাদী হয়ে তার স্বামী দীপক অধিকারী ও তার দ্বিতীয় স্ত্রী রুমা সিকদারকে আসামি করে মঙ্গলবার সকালে থানায় মামলা দায়ের করেন। ওইদিন দুুপুরে থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে যৌতুকলোভী শিক্ষক স্বামী দীপক অধিকারীকে গ্রেফতার করেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক