ঢাকা ১৬ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৬, ২০২৩
বরিশাল, নবকন্ঠ ডেস্ক :: নবদম্পতি আয়েশা ও সোহেল রানা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর তাদের বিয়ে হয়। সোহেল রানার। দুলাভাই আরিফুল ইসলামের সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রেম নববধূর। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হয়েছে।
কোনোভাবেই তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি। একপর্যায়ে গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রেমের টানে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়েছেন দুলাভাই। এ ঘটনায় শনিবার পাইকগাছা থানায় মামলা করেন নববধূর শ্বশুর আবদুল হাকিম গাজী।
ঘটনাটি ঘটেছে খুলনার পাইকগাছায়। নববধূ আয়েশা সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের লুৎফর রহমানের মেয়ে। নববধূর স্বামী সোহেল রানা পাইকগাছার বৃত্তি গোপালপুর গ্রামের হাকিম গাজীর ছেলে। অভিযুক্ত আরিফুল পাইকগাছার বাঁকা গ্রামের বাসিন্দা। তবে দুলাভাই আরিফুলের দাবি- তিনি তার শ্যালিকাকে নিয়ে যাননি। নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন তিনি।
শ্বশরবাড়ির লোকজনের দাবি, গত বছরের ৮ ডিসেম্বর আয়েশার সঙ্গে বিয়ে হয় সোহেল রানার। গত ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রেমের টানে সোহেল রানার বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে নিয়ে পালিয়ে যান দুলাভাই। এ ঘটনায় শনিবার (১৪ জানুয়ারি) পাইকগাছা থানায় মামলা করেন ঐ নববধূর শ্বশুর আবদুল হাকিম গাজী।
আয়েশার শাশুড়ি হাসিনা বেগম জানান, আমার ছেলের বউয়ের সঙ্গে তার দুলাভাই আরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিনের প্রেম। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিস বৈঠক হয়েছে। কোনোভাবেই তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি। একপর্যায়ে বিয়ের প্রায় এক মাস না যেতেই টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে দুলাভাইয়ের সঙ্গে পালিয়ে যান আয়েশা। তাদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
তবে অভিযুক্ত দুলাভাই আরিফুল বলেন, আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমার সঙ্গে আয়েশার কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, এ খবরটি জেনেছি। খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক