ঢাকা ৯ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:৫৮ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২৩
ব্যক্তিগত প্রতিহিংসা থেকে উচিত শিক্ষা দিতে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর পরিকল্পনায় সাংবাদিক গোলাম রব্বানি নাদিমকে হত্যা করা হয় বলে জানিয়েছে র্যাব।
শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর কারওয়ানবাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান বাহিনীর লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
এর আগে সন্ধ্যা ৬টা ১০ মিনিটের দিকে জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক নাদিম হত্যার ঘটনায় পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুকে কারওয়ানবাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আনা হয়।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
কমান্ডার মঈন জানান, বাবুকে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে ইউপির চেয়ারম্যান বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এদিকে চেয়ারম্যান বাবু সাধুরপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাকে গতকাল (শুক্রবার) রাতে সাময়িক বহিষ্কার করেছে বকশীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ।
এই বাবুর নির্দেশেই সাংবাদিক নাদিমকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের। পুলিশও প্রাথমিক তদন্তে এ অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে।
গত বুধবার রাত সোয়া ১০টার দিকে উপজেলার পাটহাটি মোড় দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সাংবাদিক নাদিম। ঘটনার সময় চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন, আর চেয়ারম্যানের ছেলে রিফাত সাংবাদিক নাদিমকে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় সেখানে ২০-২৫ জন উপস্থিত ছিলেন। পরে চিকিৎসাধীন নাদিম বৃহস্পতিবার দুপুরে মারা যান। এ ঘটনার বর্ণনা দেন নাদিমের সহকর্মী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক আল মুজাহিদ।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক