প্রতিশ্রুতি রাখছে না ভারত, বাংলাদেশের উদ্বেগ

প্রকাশিত: ১০:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০

প্রতিশ্রুতি রাখছে না ভারত, বাংলাদেশের উদ্বেগ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

সেই সেপ্টেম্বর, আবারও ধাক্কা। গত বছর এই মাসেই দেশের বাজারে পেঁয়াজের জন্য হাহাকার লেগেছিল। কারণ পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। এবারও সেই একই ঘটনা ঘটালো ভারত। যখন বাংলাদেশ খুশিমনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারতকে ১২ টন ইলিশ পাঠিয়েছে, অমনি ভারতের পেঁয়াজ বন্ধ হলো। জনমনে এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

 

অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুদে ঘাটতির কারণে গত বছর সেপ্টেম্বরে প্রথমে পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য বৃদ্ধি পায় এবং পরে রপ্তানি বন্ধ করে দেয় ভারত। এরপর বাংলাদেশের বাজারে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজের দাম বেড়ে হয় ৩০০ টাকায়।

 

পরবর্তীতে পাকিস্তান, মিয়ানমার, চীন, মিশর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। নতুন পেঁয়াজ ওঠার পর গত মার্চে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত।

 

২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা আরোপের আগে উভয় দেশ আগে থেকে অপরকে জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়। একইভাবে ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে ভারত সম্মত হয় যে পণ্য বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার আগে বাংলাদেশকে জানাবে।

 

কিন্তু সে প্রতিশ্রুতি রাখছে না দিল্লি। ভারত সরকারের সর্ব্বোচ্চ পর্যায় থেকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বেমালুম ভুলে গিয়ে গত ১৪ সেপ্টেম্বর দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় কোনও আগাম বার্তা ছাড়াই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে। যা বাংলাদেশের বাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এ বিষয়ে ভারতের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ।

 

সরকারের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে বলেছেন, গত বছর সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেয় ভারত। তারপর দুই প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে উভয়পক্ষ বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আগাম তথ্য প্রদান করার বিষয়ে একমত হয়। একই প্রতিশ্রুতি জানুয়ারি মাসে বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের বৈঠকে দিলেও ভারত সরকার সেটি রক্ষা করেনি বলে জানান তিনি।

 

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কী করছে-এ বিষয়ে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যে আমাদের উদ্বেগের বিষয়টি ভারতকে জানিয়েছি। তাদেরকে মনে করিয়ে দিয়েছি তাদের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জানার পরপরই তাদের আনুষ্ঠানিক পত্র দিয়েছি যাতে করে তারা তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে।’ ভারত কোনও উত্তর দিয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই পাইনি তবে আমরা যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি।’

 


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ