প্রতিশ্রুতির ১০ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস

প্রকাশিত: ১:২৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০২২

প্রতিশ্রুতির ১০ বছরেও চালু হয়নি ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস
নিউজটি শেয়ার করুন

 

আব্দুস সামাদ ইসলাম, লালমনিরহাটঃ গত ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাটগ্রাম উপজেলার আলোচিত দহগ্রাম-আঙ্গরপোতা সফরকালে লালমনিরহাট জেলার দরিদ্র মানুষের কথা চিন্তা করে বুড়িমারী-ঢাকাগামী আন্তঃনগর ট্রেন ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস’ চালুর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় গত ২০১৯ সালের ২২ মার্চ বুড়িমারী স্থলবন্দর পরিদর্শনে আসেন রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন । সে সময় তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ২০১৯ সালের মধ্যে চালু হবে নৈশ্যকালীন আন্তঃনগর তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি। কিন্তু প্রতিশ্রুতির ১০ বছরেও ট্রেনটি চালু না হওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনসাধারণের মনে।

 

বুড়িমারী-ঢাকা রুটে ‘তিনবিঘা এক্সপ্রেস’ চালুর দাবিতে ইতিপূর্বে বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরাম’র ব্যানারে আন্দোলন হলেও তাতে কোন সফলতা আসেনি। জানা যায়, তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটি লালমনিরহাট জেলার সব উপজেলায় এটি চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানের নিমিত্তে স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গসহ সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে কর্মসূচী পালন করবে।

 

এদিকে স্থানীয় সাংসদ সাবেক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব মোতাহার হোসেন এমপি স্থানীয় সাধারণ মানুষের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু করার জোর দাবি জানিয়েছিলেন। তিনি তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালুর বিষয়ে রেলওয়ে মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিভিন্ন কর্মকর্তার সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন বলেও জানা গেছে।

 

এব্যাপারে নাগরিক অধিকার ফোরাম ও তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটি’র পাটগ্রাম উপজেলা আহ্বায়ক জিয়াউর রহমান মানিক বলেন, বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে লালমনিরহাট হয়ে ঢাকাগামী একটি আন্তঃনগর ট্রেন চালু হোক যা ছিল দীর্ঘদিনের প্রাণের দাবী। যেহেতু জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, অবহেলিত লালমনিরহাটের জনগোষ্ঠীর কষ্ট দুর করতে বুড়িমারী স্থলবন্দর থেকে সরাসরি ঢাকাগামী তিনবিঘা এক্সপ্রেস চালু করবেন। কিন্তু বাস্তবে তার কোনো উদ্যোগ দেখা যায়নি।

 

বাংলাদেশ নাগরিক অধিকার ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির বলেন, তিনবিঘা এক্সপ্রেস ট্রেনটি চালু হলে ওই এলাকার মানুষের যাত্রাপথে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এতে করে সরকারের বৃহত্তর রংপুর বিভাগের উন্নয়নের আরেকটি পথ উন্মোচিত হবে বলে মনে করি। বিশেষ করে লালমনিরহাট জেলা থেকে প্রায় ৮৬ কিলোমিটার দূরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের ৬নং সেক্টর হেডকোয়ার্টার এখানেই অবস্থিত।

 

তবে অবিলম্বে ট্রেনটি চালু করা না হলে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে ঘোষণা আসে তিনবিঘা এক্সপ্রেস বাস্তবায়ন কমিটি থেকে। ইতিমধ্যে ট্রেনটি চালুর দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন প্রধানমন্ত্রী ও রেলপথ মন্ত্রী বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করেছে বলেও জানা গেছে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ