ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:০৪ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৬, ২০২৩
ভোলার লালমোহন পৌর মেয়র এমদাদুল ইসলাম তুহিন ও তার শ্যালক কামাল হোসেন রিয়াজসহ চারজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন আইনে মামলা হয়েছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের বরিশাল সমন্বিত কার্যালয়ে মঙ্গলবার এই মামলা করেন সহকারী পরিচালক রাজ কুমার সাহা। মামলায় পৌর মেয়র তুহিনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
মামলার অপর দুই আসামি হলেন বর্তমানে পিরোজপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী ও লালমোহন পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী ধ্রুব লাল দত্ত বনিক ও লালমোহন পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (সিভিল) মো. নিজাম উদ্দিন।
মামলায় তাদের বিরুদ্ধে যোগসাজস, অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা সবাই মিলে লালমোহন পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর বাজার এলাকায় লালমোহন পৌর অডিটোরিয়াম (পার্ট-১, পার্ট-২ ও পার্ট-৩) এর নির্মাণ কাজ সঠিকভাবে শেষ না সরকারী ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকার আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার নথিতে বাদী উল্লেখ করেছেন, ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে লালমোহন পৌর অডিটোরিয়াম (পার্ট-১, পার্ট-২ ও পার্ট-৩) এর নির্মাণ কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। নির্মাণকাজের জন্য মোট ৩ জন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিলে তাদের মধ্যে সর্বনিম্ন দরদাতা হন মেয়র তুহিনের শ্যালক কামাল হোসেন রিয়াজ। তাই রিয়াজকে ১ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকার সর্বনিম্ন দরদাতা হিসেবে কার্যাদেশ দেওয়ার সুপারিশ করে। চুক্তিপত্র অনুযায়ী কাজ শুরু হওয়ার দিন ছিলো ২০২০ সালের ২৫ মে। একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিলো। ঠিকাদার কামাল হোসেন রিয়াজ কাজের ৮০ ভাগ শেষ করে ওই বছরের ২১ জুলাই ৮৭ লাখ ১১ হাজার ১৪০ টাকা উত্তোলন করে নেয়।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস রিয়াজ স্টোর পৌর অডিটোরিয়ামের বাকি কাজ শেষ না করেই নির্বাহী প্রকৌশলী বিল দেওয়ার জন্য মেয়রকে সুপারিশ করেন। মেয়র চূড়ান্ত বিলের অনুমোদন করেন। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজের ১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৩ হাজার ৯১৯ টাকা উত্তোলন করেন।
গত ১৫ মার্চ গণপূর্ত বিভাগের ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি নিরপেক্ষ প্রকৌশলী টিম নিয়ে বাস্তবায়িত নির্মাণ কাজের পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। নিরপেক্ষ প্রকৌশলী ১ কোটি ৩০ লাখ ৯৫ হাজার টাকার কাজ সম্পাদন পেয়েছেন। আসামিরা ৪৩ লাখ ৮৮ হাজার ৯১২ টাকা বেশি নিয়ে আত্মসাত করেছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক