পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য: কনস্টেবলসহ ৪ জন কারাগারে

প্রকাশিত: ৯:৪৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৩

পুলিশ নিয়োগে ঘুষ বাণিজ্য: কনস্টেবলসহ ৪ জন কারাগারে
নিউজটি শেয়ার করুন

 

নবকন্ঠ ডেস্ক, বরিশাল:: মাদারীপুরে পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে দুদকের করা মামলায় চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।মঙ্গলবার (০৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

 

 

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- মাদারীপুরের সাবেক কনস্টেবল জাহিদুল ইসলাম, সাবকে টিএসআই গোলাম রহমান, পুলিশ হাসপাতালের সাবেক মেডিকেল সহকারী পিয়াস বালা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার ঘটমাঝি গ্রামের মৃত সফিউদ্দিন ফরাজীর ছেলে হায়দার ফরাজী।

 

 

এছাড়া এ মামলার অপর দুই অভিযুক্ত মাদারীপুরের সাবেক পুলিশ সুপার সুব্রত কুমার হালদার ও সাবেক কনস্টেবল নুরুজ্জামান সুমন আদালতে হাজির হননি।

 

 

মাদারীপুর আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং জানান, ২০১৯ সালের ২৮ মে পুলিশের কনস্টেবল পদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হেড কোয়াটার্স। পরে অসংখ্য নারী-পুরুষ আবেদন করলে ২৬ জুন ৩১ জন পুরুষ ও ২৩ জন নারীকে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগেই গত ২০১৯ সালের ২৪ জুন থেকে ২৬ জুন কয়েক ধাপে ৭৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্তদের কাছ থেকে গচ্ছিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ হেড কোয়ার্টাসের একটি বিশেষ দল।

 

 

 

পরে অনুসন্ধানে পুলিশ হেড কোয়াটার্স জানতে পারে, উদ্ধার করা এসব টাকা বিভিন্ন চাকরিপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ সদর দপ্তরের সুপারিশে ২০২৩ সালের ৫ জুলাই দুদকের মাদারীপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা করেন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. হাফিজুল ইসলাম।

 

 

তিনি আরও জানান, এই মামলায় জাহিদুল ইসলাম, গোলাম রহমান, পিয়াস বালা ও হায়দার ফরাজী উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের জামিন নেন। উচ্চ আদালতের জামিন শেষ হলে মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে উভয় পক্ষের শুনানি নেন আদালত। শুনানি শেষে অভিযুক্ত চারজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

 

 

এদিকে দুদকের কাজ শেষে অভিযোগপত্র পেলে বাকি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আদালত পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌশলী।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ