ঢাকা ১৪ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১লা চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৫ পূর্বাহ্ণ, জানুয়ারি ১, ২০২১
আজ বুধবার পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১৮তম জন্মবার্ষিকী। ১৯০৩ সালের আজকের এই দিনে জসীমউদ্দীন ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরী ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে মামাবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন।
কবির পুরো নাম মোহাম্মাদ জসীমউদ্দীন মোল্যা। বাংলা সাহিত্যে তিনি পল্লী কবি হিসেবে পরিচিত। রবীন্দ্রযুগের কবি হয়েও রবীন্দ্র প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত থেকে পল্লী জীবনকে অবলম্বন করে জসীমউদ্দীন নির্মাণ করেছেন স্বকীয় এক কাব্যভুবন। তার সাধনায় খুলে গেছে বাংলা কবিতার নতুন এক দুয়ার। তার লেখা ‘কবর’ কবিতাটি বাংলা সাহিত্যে এক অবিস্মরণীয় অবদান। নকশী কাঁথার মাঠ ও সোজন বাদিয়ার ঘাট কবির শ্রেষ্ঠ দুটি রচনা। এ দুটি রচনা পৃথিবীর বহু ভাষায় অনুবাদ হয়েছে।
তিনি ১৯২১ সালে ফরিদপুর জিলা স্কুল থেকে প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন। এর পর তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৯ সালে বিএ এবং ১৯৩১ সালে এমএ শেষ করেন। পাঠ চুকিয়ে কবি ১৯৩৩ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. দীনেশচন্দ্র সেনের অধীনে রামতনু লাহিড়ী গবেষণা সহকারী পদে যোগ দেন। এর পর ১৯৩৮ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলা বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। তিনি ১৯৪৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেন এবং তথ্য ও সম্প্রচার বিভাগে যোগ দেন। তিনি ডেপুটি ডিরেক্টর পদে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত এখানেই কর্মরত ছিলেন।
পল্লীকবি জসীমউদ্দীন শুধু একজন কবিই নন, তিনি একজন গীতিকার এবং একজন গান সংগ্রাহকও। জসীমউদ্দীন ১০ হাজারেরও বেশি লোকসংগীত সংগ্রহ করেন। তার সংকলিত এসব লোকসংগীতের বিশাল একটি অংশ জারিগান ও মুর্শিদা গানে স্থান পেয়েছে।
জসীমউদ্দীন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী অনেক গান রচনা করেছেন। বিখ্যাত লোকসংগীতের গায়ক আব্বাসউদ্দীন, তার সহযোগিতায় কিছু বিশেষত ভাটিয়ালি ধারার অবিস্মরণীয় লোকগীতি নির্মাণ করেছেন।
১৯৭৬ সালের ১৩ মার্চ বাংলার এ পল্লীকবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। কবির কবর কবিতা অনুযায়ী ডালিম গাছের তলায় কবিকে সমাহিত করা হয়।
কবির জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সকাল ৯টায় পল্লীকবির সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, সকাল ৯.১৫ মিনিটে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল, বিকাল ৩টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এছাড়াও কবির জন্মবার্ষিকী পালন উপলক্ষে ফরিদপুরের বিভিন্ন সংগঠন নানা কর্মসূচি নিয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক