পবিপ্রবি’র ভূমি অধিগ্রহনে ক্ষতিগ্রস্থ মালিকদের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১২:০১ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

 

দুমকি (পটুয়াখালী) সংবাদদাতা: পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় পবিপ্রবির অনুকূলে জলিশা মৌজার ভূমি অধিগ্রহণে ভূমি মালিকদের দাবী – দাওয়া না শুনে ভূমি অধিগ্রহণের অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

 

জানা যায়, উক্ত প্রকল্পের পরিচালক ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তাগণ উৎকোচের বিনিময়ে জলিশা মৌজার জমির চেয়ে শ্রীরামপুর মৌজার জমি তিনগুন বেশী দাম দিয়েছে এবং এর আগেও জলিশায় অধিগ্রহণকৃত ভূমি মালিকদের কোন কর্মসংস্থান দেয় নি।

 

ভূমি মালিকেরা ১৬ ফেব্রুয়ারী বেলা ১১টার সময় পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জয়বাংলা ভাস্কর্যের উত্তরপাশে রাস্তায় জমি অধিগ্রহণ বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন করেন।এছাড়াও বৃহস্পতিবার ১৭ ফেব্রুয়ারী সকালে প্রেসক্লাব, দুমকির হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। তারা কর্তৃপক্ষকে দাবি সম্বলিত একটি স্মারক লিপিতে ৪ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে। এতে কাজ না হলে তারা প্রয়োজনে উচ্চ আদালতের আশ্রয় নিবে।

 

উল্লখ্য, পবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি জলিশা মৌজায় ১৯.৬৫ একর জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া চালাচ্ছে।

 

সরোজমিনে গেলে সৈয়দ শাহআলম বলেন, জলিশা মৌজার প্রস্তাবিত অধিগ্রহণ তালিকার প্রতিটি পরিবারে চাকুরী নিশ্চিতকরণ ও জমির মূল্য বৈষম্য দূরীকরণ ব্যতিরেকে কোন ক্রমেই জমি অধিগ্রহন করতে দেয়া হবে না।

 

ক্ষতিগ্রস্থ ভূমি মালিকদের একজন সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, আমাদের চৌদ্দ পুরুষের চাষবাসকৃত জমি অধিগ্রহণ করবে কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে কোন বৈঠকে বসতে চাচ্ছে না।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের ছেলে- মেয়ে যে যেখানে যোগ্য তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দিলে আমরা ভূমি হারালেও এ ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে পারতাম।

 

এ বিষয়ে পবিপ্রবি নির্বাহী প্রকৌশলী মো: আমির হোসেনের সাথে আলাপকালে তিনি বলেন, ভূমি অধিগ্রহণের ক্ষমতা একমাত্র ডিসি মহোদয়ের।আমি অথবা আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের নয়।

 

পবিপ্রবি রেজিস্টার ড. কামরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি দৈনিক জাগরণকে বলেন, জলিশা মৌজার অনেকেই অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকুরি করেন। আর ধার্যকৃত জমির হার ডিসি মহোদয় এর কমিটি নির্ধারণ করেছেন। ডিসি মহোদয়ের সমঝোতা বৈঠক সম্পর্কে আমি অবগত নই।

 

দুমকি উপজেলা সাবরেজিস্টার মো.মেহেদী হাসান বলেন, ভূমি অধিগ্রহণে ভূমির হার নির্ধারণে একটি কমিটি গঠন করা হয় এবং গত এক বছরের বাজারদরের গড় করা হয়।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ