ঢাকা ১লা মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৭ অপরাহ্ণ, জুন ১৭, ২০২২
পটুয়াখালীতে মাদক সেবনে বাধা দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে জড়ানোর ঘটনায় মেজবাহ উদ্দিন নামে এক পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিধিবহির্ভূতভাবে পুলিশ লাইন থেকে লোকালয়ে বের হওয়ার অপরাধে ওই পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পটুয়াখালী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) আহমাদ মাঈনুল হাসান।
এদিকে ঘটনার দিনে মাদকের আসর বসাতে বাধা দিতে গিয়ে নাটকীয় মামলার শিকার হয়ে জেলে আছেন বৃদ্ধ মামা, দুই ভাগ্নে ও এক ভাড়াটিয়া। প্রকৃত ঘটনা যাচাই-বাছাই না করে ওই দিনের প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষীদের বদলে দ্রুতবিচার আইনের মামলায় আসামি করে তড়িঘড়ি করে জেলে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী পরিবারের এমন অভিযোগ।
ভুক্তভোগীদের ঘটনার বিবরণে জানা যায়, গত ১২ জুন পটুয়াখালী পৌর এলাকার লতিফ স্কুল সড়কের পান্থলেনের কামাল ভবনের গোলাম সরোয়ারের ছোট ভাই ও পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদকসেবী গোলাম হায়দার টিটু, পটুয়াখালী পুলিশ লাইনে কর্মরত এসএএফ পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিনসহ তাদের অপর সঙ্গীরা তাদের বাসার একটি পরিত্যক্ত কক্ষে আসর বসায়। এ সময় গোলাম সরোয়ারের ভাগ্নে স্মরণ আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেন ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বাধা দিলে হাতাহাতিতে লিপ্ত হয় পুলিশ সদস্য মেজবাহ উদ্দিন।
ঘটনার বরাত দিয়ে ভুক্তভোগীরা বলেন, গত ৩০ জুন স্মরণ আহম্মেদ ও সাব্বির হোসেনের অর্থাৎ গোলাম সরোয়ারের ছোট বোন মুক্তি আরা হ্যাপি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হলে গোসলসহ যাবতীয় কার্যাদি সম্পন্ন করেন ওই কক্ষে। তাই ওই কক্ষে মাদকের আসর বসাতে বিরত থাকতে বলেন বাসার সদস্যরা।
তাদের আপত্তি না শুনে সাদা পোশাকে পুলিশ সদস্য মেজবাহ তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে হাতাহাতি হলে তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমান এগিয়ে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। পরে পুলিশ সদস্য মেজবাহের দেওয়া সংবাদে ডিবি পুলিশের সদস্য ও থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গোলাম সরোয়ার, তাদের ভাগ্নে স্মরণ আহম্মেদ, সাব্বির ও তাদের ভাড়াটিয়া মীর নোমানকে তুলে ডিবির কার্যালয়ে নিয়ে যায়। এ সময় মাদক আসরের অপর সঙ্গী গোলাম হায়দার টিটু, সাবেক কাউন্সিল লাবু, উজ্জ্বল শীল কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়েন।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কোনো কিছু যাচাই না করে পুলিশ চারজনকে তুলে নিয়ে যায়। অথচ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ আগে আসরের নামাজ আদায় করে বাসায় ফেরেন বৃদ্ধ গোলাম সরোয়ার। সুস্থ-সবল চারজনকে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার পর পুলিশ মীর নোমানের হাত-পা পিটিয়ে ভেঙে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন মীর নোমানের স্ত্রী আফরোজা বেগম ও ওই বাসায় অন্যরা। পরে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের স্ত্রী মোসা. মরিয়ম আক্তার জেরিনকে বাদী বানিয়ে দ্রুতবিচার আইনে মামলা দিয়ে ১৩ জুন তাদের জেলে পাঠানো হয়েছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক