ঢাকা ৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৪ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
বরিশালের আগৈলঝড়া উপজেলার বাগধা ইউপির খাজুরিয়া গ্রামের দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী নুশরাত জাহান নোহার মৃত্যুর ঘটনায় অবশেষে হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে তারই বাবা সুমন মিয়ার বিরুদ্ধে।
সোমবার বরিশাল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নুসরাত জাহান নোহার মা তানিয়া আক্তার বাদী হয়ে ওই মামলা করেন। মামলাটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমাণ রয়েছে। মামলায় নুসরাতের বাবা সুমন মিয়া, সৎ মা ঝুমুর জামান, ফুপু লিপি বেগমকে এতে আসামি করা হয়েছে।
তানিয়া আক্তার আদালতের অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছেন, ২০১৭ সালের ৬ আগস্ট তার সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি সুমন মিয়ার বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর সুমন মিয়া মামলার ২ নম্বর আসামি ঝুমুরকে বিয়ে করেন। তবে তার মেয়ে নুশরাত বাবার কাছে থেকে পড়াশোনা করতো। বাদীর সাবেক সাবেক শ্বশুর আব্দুর রহিম মিয়া তার নাতনি নুশরাতকে বেশি আদর স্নেহ করতেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সুযোগ পেয়ে বাবা সুমন মিয়া ও সৎ মা ঝুমুর গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে নুশরাতকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করে।
গত ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে শিশু নোহার ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় বলে দাবি তার বাবা ও সৎ মায়ের। এ ঘটনায় পরদিন ১০ সেপ্টেম্বর সুমন মিয়া বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইককে আসামি করে মামলা করেন। এরপর থেকে শিক্ষক সুমনও পলাতক রয়েছেন।
আদালতে মামলা দায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সুমন মিয়া তানিয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবহিত নই। তিনি হত্যার জন্য শিক্ষক সফিকুলকে ইসলাম সুমন পাইককে দায়ী করে বলেন, আসামি প্রভাবশালী লোকজন ও স্বজনরা আমার কাছে মীমাংসার প্রস্তাব দেয়। আমি তাতে রাজি না হওয়ায় মহল বিশেষ বিষয়টি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছেন।
তিনি আরো বলেন, আমার মেয়ে খাজুরিয়া গ্রামে প্রতিষ্ঠিত দারুল ফালাহ প্রি-ক্যাডেট একাডেমির মাসিক পরীক্ষায় ফলাফল ভালো না করায় ওই স্কুলের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম সুমন পাইক নোহাকে ক্লাস রুমে বেত্রাঘাত করে গালমন্দ করেন। নোহা এতে অভিমান করে আত্মহত্যা করে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক