ঢাকা ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:১০ অপরাহ্ণ, জুলাই ২৩, ২০২৩
দুমকী(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে অনবরত পাশে রয়েছেন মানবিক ডাঃ জি.এম. এনামুল হক।
এ পর্যন্ত(২২জুলাই) অত্র হাসপাতালে ৬৭ডেঙ্গুর রোগী এডমিট হয়ে সেবা নিয়েছেন ৩১ শয্যা বিশিষ্ঠন হাসপাতালটির মধ্যে ৩৩ জন পুরুষ ও ৩৪ জন মহিলা রোগী ।
সেবা গ্রহিত রুবিনা , ফাতিমা, সালমা, সাদিয়া, জয়নব বেগম নামের রোগীদের কাছে তাঁর সম্পর্কে জানতে চাইলে রোগীরা বলেন, স্যার খুব ভালোমতো সময় নিয়ে রোগী দেখেন। তাঁর ব্যবহার ও সেবা নিয়ে আমরা অনেক সন্তুষ্ট।
রুহুল আমীন নামের স্টোর ইন চার্জ বলেন, স্যার (ডাঃ এনামুল) আরএমও -এর দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে হাসপাতালের অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (আরএমও) ডাক্তার এনামুল বলেন, ডেঙ্গু সম্পর্কে আমাদের দেশের মানুষ মোটামুটি জানে৷ এটা ভাইরাস জনিত রোগ। উচ্চ মাত্রায় জ্বর হয়৷ ১০৩, ১০৪, ১০৫ ডিগ্রি উঠে যায়৷ এর সঙ্গে সারা শরীর ব্যাথা করবে৷ মাংসতে ব্যাথা, কব্জিতে ব্যাথা, মাথা ব্যাথা, চোখের পিছনে ব্যাথা করবে৷
এত ব্যাথা যে, এটার অপর নাম হাড় ভাঙা জ্বর৷ এর সঙ্গে মুখে রুচি নেই, বমি হবে৷ সাধারণত জ্বরের ৪-৫ দিন পর শরীরে লাল লাল র্যাশ উঠে এলার্জির মতো৷ নাও উঠতে পারে৷ কারও কারও ক্ষেত্রে রক্তের প্লাটিলেট কমে যায়৷ তখন শরীরে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে৷
সাধারণত রোগীরা বলেন, মল ত্যাগের সময় রক্ত, নাক-মুখ দিয়ে রক্ত, বমির সঙ্গে রক্ত, এমনকি মেয়েদের অসময়ে ঋতুস্রাব হয়ে যাচ্ছে, আবার সেটা বন্ধ হচ্ছে না, এমন যদি থাকে তখন আমরা ধরে নেই এটা ডেঙ্গুই হয়েছে৷ তবে সবার সব লক্ষণ নাও থাকতে পারে৷ অনেক সময় দেখা যায়, কারও র্যাশ উঠে, কারও ওঠে না৷ আবার অনেকের ৪/৫ দিন পরই র্যাশ উঠছে৷ টিপিক্যাল লক্ষণ অনেকের থাকে, অনেকের থাকে না৷ অনেক সময় জ্বরের ৪-৫ দিন পর রোগীর পেটে, বুকে পানি আসে৷ পেট ফুলে যায়৷ সুতারাং বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ হতে পারে৷
উল্লেখ্য, তিনি ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এস এস সি, ২০০৯ সালে এইচএসসি সম্পন্ন করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করে ৪২ তম বিসিএস(স্বাস্থ্য) উত্তীর্ণ হয়ে অত্র হাসপাতালে যোগদান করেন।২০২২ সাল থেকে তিনি অত্র হাসপাতালে আরএমও- এর দ্বায়িত্ব পালন করছেন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক