ঢাকা ২৮শে জানুয়ারি, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই মাঘ, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | ৬ই রজব, ১৪৪৪ হিজরি
প্রকাশিত: ৪:৫১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২০
সাভারের আশুলিয়ায় মাদ্রাসার দুই শিশু শিক্ষার্থীকে পাশবিক নির্যাতনের ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার রাতে আশুলিয়ায় শ্রীপুরের মধুপুরে জাবালে নূর কওমি মাদ্রাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ওই কওমি মাদ্রাসায় হেফজ বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমানকে বেত দিয়ে পেটায় শিক্ষক হাফেজ মোহাম্মদ ইব্রাহিম। পিটুনির সেই ফুটেজ ফেসবুকে ভাইরাল হলে তা নিয়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
নির্যাতিত শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম রাশেদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল ও অপর শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান ফুয়াদ ঝালকাঠি সদর জেলার দেউলকাঠি গ্রামের মাওলানা আব্দুস সাত্তারের ছেলে।
নির্যাতনের শিকার শিশু শিক্ষার্থী মাহফুজুর রহমান জানায়, তার সহপাঠী রাকিবুল নির্যাতন সইতে না পেরে পালিয়ে যায়। পরে তাকে খুঁজে নিয়ে এসে মাদ্রাসার ভেতর হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় শিক্ষক ইব্রাহিম। এসময় রাকিবুলকে পালাতে সহায়তার অভিযোগে তাকেও বেত্রাঘাত করে জখম করেন ওই শিক্ষক।
ধামসোনা ইউপি মেম্বার মোনতাজ উদ্দিন ও এলাকাবাসী জানায়, দুই বছর পূর্বে মধুপুর এলাকায় ছয় তলা ভবনের চতুর্থ তলায় ১২ জন শিক্ষার্থী নিয়ে আবাসিক শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে কওমি মাদ্রাসাটি। তবে ইব্রাহিম ও ওবায়দুল্লাহ নামে হাফেজ দিয়েই চলতো প্রতিষ্ঠানটি। এরপর গত ১১ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার দুই শিক্ষার্থীকে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন চালায় মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিম। পরে সোমবার শিশুদের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন দেখে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে ফেসবুকে ভাইরাল করে স্থানীয়রা। এরপরই এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে সোমবার রাতে অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষক ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এসময় অপর শিক্ষক ওবায়দুল্লাহকেও জিজ্ঞাসবাদের জন্য নিয়ে যায় পুলিশ।
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মহির উদ্দিন জানান, শিশু শিক্ষার্থীকে নির্যাতনের অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক