তহবিল সংকট শিক্ষা হুমকিতে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু

প্রকাশিত: ৫:২৩ অপরাহ্ণ, জুন ১, ২০২৫

তহবিল সংকট শিক্ষা হুমকিতে দুই লাখের বেশি রোহিঙ্গা শিশু
নিউজটি শেয়ার করুন

 

তহবিল সংকট বাড়তে থাকায় প্রায় দুই লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুর শিক্ষা হুমকির মুখে পড়েছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের শিশু তহবিল-ইউনিসেফ। আজ রবিবার (১ জুন) সংস্থাটি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট মোকাবেলায় ইউনিসেফ যে কার্যক্রম চালায়, তার তহবিল সাম্প্রতিক মাসগুলোতে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। এর প্রভাব পড়েছে শরণার্থী শিবিরগুলোর ৮৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর ওপর। এসব শিক্ষার্থী ইউনিসেফ সহায়তাপুষ্ট শিক্ষাকেন্দ্রে পড়াশোনা করে।

 

 

ইউনিসেফ বলছে, নতুন তহবিল গঠন এবং নতুন করে কার্যক্রম সাজানোর ‘নিরলস প্রচেষ্টা’ চালানোর পরও তহবিল সংকটের কারণে সংস্থাটিকে কিছু ‘কষ্টদায়ক’ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কাজ করা স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকদের সহায়তা স্থগিত করার মত বিষয়।আগামী ৩০ জুনের মধ্যে এক হাজার ১৭৯ জন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকের সঙ্গে ইউনিসেফের চুক্তি শেষ হবে। এই স্বেচ্ছাসেবকরা মূলত স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সদস্য।

 

 

বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, ইউনিসেফ যে শিশুদের কথা বলছে, তারা বিশ্বের সবচেয়ে অসহায় শিশুদের অন্যতম। জরুরি শিক্ষা সেবা অব্যাহত রাখতে আমরা সম্ভাব্য সব কিছু করছি। ইউনিসেফ অন্যান্য কিছু তহবিল আকৃষ্ট করতেও সক্ষম হয়েছে, কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে এগুলো পেতে বিলম্ব হবে। ফলে ইউনিসেফ শিক্ষা কেন্দ্রগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবে। জরুরি তহবিল ছাড়া শিক্ষা কেন্দ্রগুলো বন্ধ থাকতে পারে এবং তাতে রোহিঙ্গা শিশুদের পুরো প্রজন্ম পেছনে পড়ে থাকার ঝুঁকিতে পড়ছে।

 

 

 

ইউনিসেফ বলছে, শিক্ষা কেন্দ্রগুলো চলতি জুন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। এরপর এসব কেন্দ্র খোলার বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করবে নতুন তহবিল পাওয়ার ওপর। অর্থ সংকটের কারণে পরবর্তী শিক্ষাবর্ষে কিন্ডারগার্টেন থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি, বিজ্ঞান বা সামাজিক শিক্ষা শেখানো হবে না। ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের জন্য নতুন কোনো পাঠ্যপুস্তক বা শিক্ষক নির্দেশিকা কেনা হবে না।

 

 

ইউনিসেফ আরও জানায়, বছর শেষের মূল্যায়ন এবং প্লেসমেন্ট টেস্ট (শিশু কোন শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য তা বের করার পরীক্ষা) বাতিল করা হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষকরা ছুটির সময় পারিশ্রমিক পাবেন না এবং অর্থ না আসা পর্যন্ত স্বেচ্ছাশ্রমে পড়ানো চালিয়ে যেতে পারেন।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ