ভোলার চরফ্যাসনে ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসাসেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

ডায়রিয়া রোগের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে না আসায় ওয়ার্ডে জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। তাই চাপ সামলাতে হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায় দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসাসেবা। ওয়ার্ডের বাইরে বৈদ্যুতিক পাখা না থাকায় গরমে নাভিশ্বাস চিকিৎসাধীন রোগীদের।

রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে চরফ্যাসন হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘন্টায় হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তি হয়েছেন ৫৫জন। এছাড়াও গত ৪দিনে ৩০০ রোগী ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় হাসপাতালের জায়গা সংকুলান হচ্ছে না। তাই ওয়ার্ডের বাহিরে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগী আবদুল্লাহপুরের সুবর্ণা (১২), নুরাবাদের হালিমা (১০) ও রোগীর স্বজন রুপবান জানান, হাসপাতালের ওয়ার্ডে বেড না থাকায় এখন মেঝেতে চিকিৎসা নিতেছি। তবে প্রচন্ড গরমে কোনো ধরনের বৈদ্যুতিক পাখার ব্যবস্থা না থাকায় চিকিৎসা নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

চরফ্যাসন হাসপাতালের টিএইচও শোভন বসাক জানান, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান বেড না থাকায় এবং হঠাৎ করে ডায়রিয়া রোগী বেড়ে যাওয়ায় হাসপাতালের বারান্দায় ও মেঝেতে রোগীদেরকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা সেবায় হিমশিম খাচ্ছে ডাক্তার ও নার্সরাও। হাসপাতালে যে পরিমান স্যালাইন রয়েছে আরো ২০ দিন ডায়রিয়া রোগীদের সেবা প্রদানে ব্যবহার করা যাবে। রোগীদের সেবাপ্রদানে আমরা সাধ্যনুযায়ী চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।