ঢাকা ১২ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:০৮ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১৩, ২০২৩
রৌমারী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ঘুষ ছাড়া কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনেন না কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মোঃ শহিদুল্লাহ কার্ডধারী ভুক্তভোগী কৃষকরা এ অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে কৃষকদের মাঝে বিরাজ করছে ক্ষোভ।
উপজেলা খাদ্য অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নের ২৫৭ জন কৃষকের কাছ থেকে ৭৭১ টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চলতি বছরের ৭ মে ধান সংগ্রহ শুরু হয়ে ৩১ আগস্ট মাস পর্যন্ত চলবে। এখন পর্যন্ত ৬০৯ টন ধান সংগ্রহ করা হয়েছে। একজন কৃষক (৭৫ মণ) তিন টন করে ধান বিক্রি করতে পারবেন।
এদিকে কার্ডধারী ভুক্তভোগী কৃষকদের অভিযোগ, উপজেলা খাদ্যগুদামে টনপ্রতি ধান বিক্রি করতে একজন কৃষককে ২ হাজার ১০০ টাকা ঘুষ দিতে হয়। এছাড়া গুদাম কর্মকর্তা শহিদুল্লাহকে মণপ্রতি অতিরিক্ত হিসেবে দুই কেজি করে ধানের দাম ৬০ টাকা দিতে হয়।
এভাবে একজন কৃষক থেকে তিন টন ধান কিনতে গুদামগুদাম কর্মকর্তা ৬ হাজার ৬০০টাকা করে ঘুষ নিচ্ছেন। এছাড়াও গুদামে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ীর যোগসাজশে গড়ে তুলেছেন সিন্ডিকেট। এ কারণে কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ধান কিনতে সরকারি নির্দেশনা থাকলেও সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান কিনছেন তিনি। যাদের কাছে ঘুষ নিতে পারছেন, শুধু তাদেরেই ধান গুদামে ক্রয় করছেন ওই কর্মকর্তা।
জানা যায়, সরকারি গুদামে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে ধান সংগ্রহ করা হচ্ছে। এতে টনপ্রতি ৭০০ টাকা ও মণপ্রতি অতিরিক্ত দুই কেজি ধানের দাম ৬০ টাকা করে ঘুষ দিতে হয়। এই ঘুষের টাকা না দিলে খাদ্যগুদামে ন্যায্য মূল্যে ধান বিক্রির কোনো সুযোগ নেই। সরকারি খাদ্যগুদাম কর্মকর্তার কাছে কৃষকরা অসহায়।
এদিকে অভিযোগের বিষয়ে রৌমারী উপজেলা খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসিএলএসডি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে তা সঠিক নয়। গুদামে জায়গা খালি নেই। এ কারণে কৃষকের ধান নেওয়া যাচ্ছে না।
অন্যদিকে রৌমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা আলাউদ্দিন বসুনিয়ার দাবি, তালিকাভুক্ত কৃষক ছাড়া অন্য কারো কাছ থেকে ধান কেনার কোনো সুযোগ নেই। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে l
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক