ঢাকা ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:১৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০২০
গৌরনদীতে কলেজের ছাত্রী শারমিনের মৃত্যুর প্রাথমিক তথ্য পেয়েছে পুলিশ। গৌরনদী মডেল থানার এসআই সাধন কুমার মন্ডল মুঠোফোনে জানিয়েছেন, স্থানীয়ভাবে আমরা জানতে পেরেছি ওই মেয়ের সাথে এক যুবকের প্রেম ছিল। কিন্তু সেই সর্ম্পক অসম হওয়ায় শারমিনের পরিবার মেনে নেয়নি। এ নিয়ে শারমিন ও তার মায়ের সাথে বাকবিতন্ডা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আত্মহত্যা করেন শারমিন।
সাধন কুমার মন্ডল বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা নাগাদ ময়নাতদন্ত শেষ হবে। তবে এ ঘটনায় থানায় কোন অভিযোগ বা কেউ আটক নেই বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। ওই ছাত্রীর সাথে যে যুবকের প্রেম ছিল আমরা তাকে খুঁজচ্ছি।
আত্মহত্যার পর শারমিনের কক্ষ থেকে ক্রুশ, বেনসন সিগারেটের প্যাকেট, র্যাপিড প্রেগনেন্সি টেস্টের সরঞ্জামাদি উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী কারও সাথে অসম প্রেমে জড়িয়ে শারীরীক সর্ম্পক স্থাপন করেছিলেন শারমিন।
পুলিশ জানিয়েছে, শারমিনের লাশ উদ্ধারের পর তার পিতা-মাতা গৌরনদী থেকে গোপনে লাশ তাদের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর জেলার কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া গ্রামে নিয়ে গিয়েছিল। খবর পেয়ে পুলিশ গতকাল (৪ অক্টোবর) লাশ উদ্ধার করে আজ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃত শারমিনের পিতা গৌরনদীর টরকী বন্দরের কাঠ ব্যবসায়ী খোকন সরদার জানান, তার মেয়ে (শারমিন আক্তার) গৌরনদী গালর্স স্কুল এন্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে তার স্ত্রী শনিবার রাতে শারমিনকে গালিগালাজ করেন। এতে অভিমান করে রোববার দুপুরে নিজ বাসার শয়ন কক্ষের ফ্যানের সাথে গলায় ওড়না পেচিয়ে শারমিন আত্মহত্যা করে।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক