গৃহবধূকে খুনের পর মুখে কীটনাশক ঢেলে রাখার অভিযোগ

প্রকাশিত: ১০:৩৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০২০

গৃহবধূকে খুনের পর মুখে কীটনাশক ঢেলে রাখার অভিযোগ
নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরগুনা : বরগুনায় তানজিলা আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূকে খুনের পর মুখে কীটনাশক ঢেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাত ৮টার দিকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে এ অভিযোগ করেন মৃত গৃহবধূর মা হওয়া বেগম। শুক্রবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তানজিলাকে তার শ্বশুরবাড়ির স্বজনরা বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

 

এক সন্তানের মা মৃত গৃহবধূ তানজিলা বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের বানাই এলাকার মো. জাহাঙ্গীরের স্ত্রী। এছাড়াও তিনি সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের লবনগোলা গ্রামের মো. রাজা মিয়ার মেয়ে। ময়নাতদন্তের জন্য তানজিলার মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

 

এ বিষয়ে তানজিলার মা হাওয়া বেগম বলেন, আট বছর আগে তানজিলার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তানজিলা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে স্বামীর বাড়িতে বসবাস করছিল তানজিলা। শ্বশুরবাড়িতে অবস্থানকালে ঠুনকো ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের সঙ্গে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকত তানজিলার।

 

এরই ধারাবাহিকতায় শুক্রবার বিকেলে তানজিলাকে মারধর করা হলে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এরপর মৃত্যুর ঘটনাকে আত্মহত্যা হিসেবে প্রমাণ করার জন্য তানজিলার মুখে বিষ ঢেলে দিয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল নিয়ে আসে তার শাশুড়ি মোসা. সাজেদা বেগম এবং দেবর মো. বাশার। এর পর ডাক্তাররা তানজিলাকে মৃত ঘোষণা করলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান তারা।

 

এ বিষয়ে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মেহেদী হাসান বলেন, সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে তানজিলাকে মৃত অবস্থায় কয়েকজন স্বজন বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসেন।

 

গৃহবধূ তানজিলা আক্তারের শ্বশুরবাড়ির স্বজনদের কাউকে না পাওয়ায় তাদের কারো কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। তাই ঘটনাস্থলে আমরা পুলিশ পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত আমরা লিখিত কোনো অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ