ঐতিহাসাকি মক্কা বিজয়ের দিন আজ

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২২, ২০২২

নিউজটি শেয়ার করুন

 

২০ রমজান। ঐতিহাসিক মক্কা বিজয় দিবস। মুসলিম বাহিনীর এই বিজয় শুধু ইসলামের ইতিহাসে নয়, বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে অনন্য বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদার। কারণ, এই দিনে বিনা রক্তপাতে বিশ্বনবী (স.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানরা জয় করে নেন আরবের সবচেয়ে সমৃদ্ধ নগরী। প্রতিষ্ঠিত হলো সত্য ধর্মের।

 

পবিত্র মক্কা বিজয় ছিল বিশ্বনবী (স.)-এর দূরদর্শিতা, শান্তিকামিতা ও ক্ষমাশীলতার অসাধারণ সাক্ষ্য। অষ্টম হিজরির রমজান মাসে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

 

মূর্তিপূজার কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছিল মক্কা। হজরত ইব্রাহীম (আ.) একক প্রভুর ইবাদতের জন্য যে বায়তুল্লাহ নির্মাণ করেছিলেন, তা ভরে ফেলা হয়েছিল মূর্তি ও বিগ্রহে। ১০ রমজান মদিনা থেকে ১০ হাজার সাহাবি নিয়ে মক্কা অভিমুখে রওনা হন নবীজি (স.)।

 

তবে, মক্কা জয়ের জন্য পরিচালনার পেছনের উপলক্ষটি হচ্ছে হুদায়বিয়ার সন্ধি। হিজরি ষষ্ঠ বছরে সম্পাদিত এ চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করেছিল মক্কার কুরাইশরা। মহানবী (স.) প্রতিকার চেয়েছিলেন, নইলে সন্ধি শেষ—এমনটা মনে করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কুরাইশরা কোনো সাড়া না দেওয়ায় তিনি অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেন।

 

মুসলমানদের মক্কা বিজয়ের প্রস্তুতি ছিল অত্যন্ত গোপন। বিশ্বনবী (স.) মুসলিম সেনা নিয়ে উপস্থিত হন। মক্কার কাফের নেতৃবৃন্দ এমন অভিযানের ব্যাপারে মোটেও প্রস্তুত ছিল না।

 

তারা বিশাল এই বাহিনীর আগমনে হতভম্ব হয়ে যায় এবং কোনো ধরনের প্রতিরোধের চিন্তা তো নয়ই, বরং পুরোপুরি হতাশ হয়ে কেবল প্রাণ রক্ষার কথা ভাবতে থাকে!

 

মহানবী (স.) মক্কায় প্রবেশ করেন ২০ রমজান। রক্তপাতহীন অভিযানেই ইসলামের পতাকা সেখানে সমুন্নত হয়। মহানবী (স.) আল্লাহর ঘর থেকে ৩৬০টি মূর্তি অপসারণ করেন। আর এতদিন যারা ইসলামের শত্রুতায় প্রস্তুত ছিল, তাদের জন্য ঘোষণা করেন সাধারণ ক্ষমা। শান্তি ও মানবতার অনন্য নজির স্থাপন করলেন বিশ্বনবী (স.)। তাই মক্কা বিজয়ের ঘটনা বিশ্ব মানবতার ইতিহাসে এক অনন্য সাধারণ ঘটনা। আর সে কারণেই ২০ রমজান মুসলমানদের জন্য বিপুল গৌরবের স্মারক।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ