ঢাকা ১৩ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৬, ২০২৩
যাত্রী সংকটের কারণে ঢাকা-বরিশাল আকাশ পথে একে একে বন্ধ হচ্ছে বেসরকারি যাত্রীবাহী বিমান। নভোএয়ারের পর ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে ইউএস-বাংলা। রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমান একই পথে হাঁটলে পুরোপুরি বন্ধ হবে যাত্রীদের বরিশালের আকাশে ওড়া।
বৃহস্পতিবার (৭ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-বরিশাল আকাশপথে বিমান ওড়া বন্ধ হচ্ছে ইউএস বাংলার বিমান বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বরিশাল বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের কাউন্টারটি ঢেকে রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে আকাশপথে বন্ধ হচ্ছে তাদের বিমান চলাচল।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, ধারণ ক্ষমতার পুরো যাত্রী পাওয়ার পরও ঢাকা-বরিশাল রুটে ফ্লাইট না চালানো রহস্যজনক। উড়োজাহাজ ও যাত্রী সংকটের কথা জানিয়ে এর আগে গত বছরে নভোএয়ারের চলাচল বন্ধ হয়। একই অজুহাত এবার ইউএস-বাংলারও।
এ পথের পর্যবেক্ষকরা জানান, ঢাকা-বরিশাল দেশের অন্য যে কোনো উড়াল পথের চেয়ে লাভজনক। মাত্র ৬১ অ্যারোনটিক্যাল মাইলের এই দূরত্বটুকু পার করতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত ভাড়া নেয় বিমান সংস্থাগুলো। এরপরও বিমান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে ভোগান্তির শেষ থাকবে না তাদের।
রাসেল নামে এক বিমানযাত্রী বলেন, আমি বিদেশি একটি কোম্পানিতে চাকরি করি। প্রতি সপ্তাহে আমাদের বিদেশ থেকে ডেলিগেট আসেন। এ অবস্থায় বিমান বন্ধ হয়ে গেলে চরম বিপদে পড়তে হবে।
আয়শা নামে আরেক যাত্রী বলেন, আমার মা অসুস্থ। প্রতি এক মাস পরপর ঢাকায় নিয়ে ডাক্তার দেখাতে হয়। এমন অবস্থায় বিমান বন্ধ হয়ে গেলে মাকে নিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হবে।
বেসরকারি এসব প্রতিষ্ঠানের মতো টিকে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিমানও যদি একই পথে হাঁটে তাহলে বরিশালের যাত্রীরা আকাশপথে আর চলাচল করতে পারবেন না।
বরিশাল ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের স্টেশন ইনচার্জ সৈয়দ মুস্তাইন হোসেন বলেন, খরচ বেড়েছে, ট্যাক্সও বাড়ানো হয়েছে। সেটার সঙ্গে সামঞ্জস্য করে আমরা ভাড়াটা ওইভাবে বরিশাল থেকে পাচ্ছি না।
বরিশাল সামাজিক সম্প্রীতির সাধারণ সম্পাদক ডা. সুদীপ কুমার হালদার বলেন, অর্থনৈতিকভাবে আমাদের যে উন্নয়ন সেখানে আকাশপথ একান্ত জরুরি। পদ্মা সেতুর কারণে বরিশালে শিল্প উন্নয়ন হচ্ছে। এমন অবস্থায় বিমান চলাচল থেমে গেলে উন্নয়নে ভাটা পড়বে। আমরা চাই বেসরকারি বিমানগুলো তাদের সার্ভিস চালু করুক।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ধারণ ক্ষমতার ৮৪ ভাগ যাত্রী বহন করে ইউএস-বাংলা। কেবল জুলাইয়েই ধারণক্ষমতার ৯২ ভাগ যাত্রী ওঠে তাদের উড়োজাহাজে। এরপরও ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে এয়ারলাইন্সটি।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক