ঢাকা ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৭, ২০২০
দেশজুড়ে ব্যাপক আলোচিত ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে হত্যাচেষ্টার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বাড়ির কাজের মেয়ে (গৃহপরিচারিকা) জবেদা ও আরসোলাকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে।
রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলায় অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে তাদের আটক করা হয়। থানা সূত্রে জানা গেছে, আটক দুইজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিনাজপুর ডিবি পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এর আগে শনিবার কাজের মেয়ে জবেদাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল।
এ মামলায় আরও যাদের আটক করা হয়েছে তারা হলেন- উপজেলার বানিয়াল পালশা গ্রামের খোকা শেখের ছেলে মো. শাহজাহান শেখ এবং চক বাসুনিয়া বিশ্বনাথপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে সোহেল রানা। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রধান আসামি আসাদুলের বড় ভাই আশরাফুল ইসলাম, একই গ্রামের সইমুদ্দিনের ছেলে সুলতান ও ধীরেন্দ্র নাথের ছেলে শ্যামল চন্দ্রকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
জানা গেছে, এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি ওসি ইমাম জাফর। মামলার বাদী ইউএনওর বড় ভাই শেখ আরিফ হোসেন।
এ মামলার প্রধান আসামিরা হলেন- রংমিস্ত্রী নবীরুল ইসলাম ও সান্টু কুমার। এ দুই আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। প্রধান আসামি আসাদুল হক রংপুর মেডিকেলে চিকিৎসাধীন থাকায় সন্ধ্যায় থাকে থানায় হস্তান্তর করা হয়। পরে তাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
গত বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা ঘোড়াঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে। হত্যার উদ্দেশ্যে তারা ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা ওমর আলীকে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে আহত বাবা-মেয়েকে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। পরে ইউএনও ওয়াহিদাকে বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হয়। বর্তমানে ঢাকার আগারগাঁওয়ে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
Design & Developed By ইঞ্জিনিয়ার বিডি নেটওয়ার্ক