আমতলীতে শহিদ মিনার নেই ১২৬ মাদ্রাসায়

প্রকাশিত: ৫:৪৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২২

আমতলীতে শহিদ মিনার নেই ১২৬ মাদ্রাসায়
নিউজটি শেয়ার করুন

 

চলছে ভাষার মাস। যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে বাঙালি মায়ের ভাষায় কথা বলে। যাদের ঋণ শোধ হবার নয়, যাদের স্মরণে আমরা প্রতি বছর পালন করি ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর ও দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর অতিবাহিত হলেও এখনও বরগুনার আমতলী উপজেলার ১২৬টি মাদ্রাসায় নির্মিত হয়নি স্থায়ী কোনো শহীদ মিনার। ফলে ভাষার জন্য যাঁরা জীবন দিয়েছেন তাঁদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না শিক্ষার্থীরা।

 

উপজেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমতলীতে এবতেদায়ি মাদরাসা ৯৭টি, দাখিল ও আলিম মাদরাসা রয়েছে ২৯টি। এতগুলো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আজও নির্মিত হয়নি শহীদ মিনার।

 

কয়েকটি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, তাদের বিদ্যালয়ে স্থায়ীভাবে কোনো শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় ভাষা আন্দোলনে নিহত শহীদদের প্রতি তারা যথাযথ শ্রদ্ধা জানাতে পারছে না। তারা সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কাছে তাদের মাদ্রাসায় স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মাণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

 

আমতলী বন্দর হোসাইনিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মো. ইউনুস আলী বলেন, উপজেলার মাদ্রাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকরা এ দিবস সম্পর্কে তেমন একটা গুরুত্ব দেয় না। স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করা হলে কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা ভাষা আন্দোলনের বিষয়ে জানতে আরো আগ্রহ প্রকাশ করবে।

 

আমতলী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার অ্যাড: আবুল কালাম সামস উদ্দিন সানু বলেন, মাদ্রাসাগুলোতে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মিত না হওয়ায় একজন রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অনেক কষ্ট পাই।

 

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জিয়া উদ্দিন মিলন জানান, এবতেদায়ি মাদরাসা ৯৭টি, দাখিল ও আলিম ২৯টি মাদ্রাসায় কোন শহীদ মিনার নাই।

 

উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মো. মতিয়ার রহমান বলেন, ভাবতেই অবাক লাগে। রাষ্ট্রভাষা বাংলা প্রতিষ্ঠার ৭০ বছর ও দেশ স্বাধীন হওয়ার ৫০ বছর অতিক্রান্ত হলেও উপজেলার সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভাষা শহীদদের সম্মানে স্থায়ীভাবে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে যাহাতে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দ্রুত সময়ের মধ্যে শহীদ মিনার নির্মাণ করা যায় তার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ