অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশালে প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

প্রকাশিত: ২:০২ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২০, ২০২০

নিউজটি শেয়ার করুন

 

বরিশাল : ক্ষমতার অপব্যবহার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বরিশাল নগরীর আছমত আলী ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক এইচএম জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে বরখাস্ত করার তথ্য জানিয়ে স্কুলের অফিস সহকারি জামাল হোসেন সন্যামত একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

 

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং ভাড়াটিয়াদের ভাড়া মওকুফ করে তা আত্মসাত এবং অকৃতকার্য ছাত্রদের কাছ থেকে উত্তোলনকৃত মোট ৫ লাখ টাকা আত্মসাতসহ ১০টি অভিযোগ আছে তার নামে। ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে বহিস্কারের আদেশ দেয়া হয়।

 

জানা যায়, তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষক ও কর্মচারীরা অনাস্থা প্রস্তাব করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায়। এরপর শনিবার ম্যানেজিং কমিটির সভায় তাকে সাময়িক বহিস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী জামাল হোসেন সন্যামত জানান, গত ১ জুলাই থেকে ৯ আগস্ট পর্যন্ত অর্থ আত্মসাত করাসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়ায় ম্যানেজিং কমিটি থেকে তাকা শোকজ করা হয়। কিন্তু শোকজের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় এই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের এক কমিটি গঠন করা হয়।

 

কমিটিতে সদস্য ছিলেন, সরকারি বিএম কলেজের সহযোগী অধ্যাপক মনোজ হালদার, সহকারি শিক্ষক ইসরাত জাহান সিলভী ও মামুন হাওলাদার। কমিটির দেওয়া প্রতিবেদনে প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনের নামে ১০টি অভিযোগের সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায়। রে ম্যানেজিং কমিটির সভায় প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

 

এ বিষয়ে বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মাসুদ হাসান বাবু জানান, তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় প্রধান শিক্ষক এইচ এম জমিম উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্যান্ন আইনগত পদক্ষেপের প্রক্রিয়া চলমান।

 

তবে অভিযুক্ত জসিম উদ্দিন জানান, তদন্তকালীন সময় তাকে এক মাস বাধ্যতামূলক ছুটিতে রাখা হয়। এ কারণে তারা তাদের ইচ্ছে মতো একপেশে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ১০টি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ার বিভ্রান্তি ছড়িয়ে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। যা বিধিসম্মত হয়নি।


নিউজটি শেয়ার করুন

আমাদের ফেসবুক পেজ